Health

ঐতিহাসিক দিন, ভারত জুড়ে শুরু হল করোনা টিকাকরণ

এক ঐতিহাসিক দিন হয়ে রইল ১৬ জানুয়ারি। শনিবার সকাল থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে শুরু হল করোনা টিকা প্রদান। নির্বিঘ্নে চলছে টিকাকরণের কাজ।

Published by
News Desk

নয়াদিল্লি : করোনা বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ার পরই বিজ্ঞানীরা চেষ্টা শুরু করেছিলেন এর প্রতিষেধক টিকা তৈরির। সেই লড়াই কার্যত চলেছে গত বছরটা। তারমধ্যে ৩টি ট্রায়াল শেষ করে ইতিমধ্যেই বিশ্বের বেশ কিছু দেশে শুরু হয়েছে টিকাকরণের কাজ।

ভারতে শুরু হল ১৬ জানুয়ারি থেকে। ফলে দিনটির ঐতিহাসিক গুরুত্ব তৈরি হল। যে অতিমারির সঙ্গে লড়াই করতে করতে ক্লান্ত বিশ্ব, সেই অতিমারিকে হারাতে এই টিকাকরণ কার্যত এখন একমাত্র পথ। আর মানতে হবে করোনা প্রতিরোধী নিয়মবিধি।

ভারতের বিভিন্ন কোণায় আগেই পৌঁছে গিয়েছিল সেরাম ইন্সটিটিউটে তৈরি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার যৌথ উদ্যোগে আবিষ্কৃত কোভিশিল্ড। কলকাতা ও বিভিন্ন জেলাতেও পৌঁছে গিয়েছিল এই টিকা।

শনিবার সকাল থেকেই বিভিন্ন টিকাকরণ কেন্দ্রে শুরু হয় টিকাকরণের কাজ। যাবতীয় নিয়ম মেনেই টিকাকরণের কাজ চলছে। প্রথম পর্যায়ে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী ও ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কাররা পাবেন টিকা। দেশে জুড়ে ৩ কোটি এমন মানুষকে টিকা দেওয়া হবে। তারই কাজ শনিবার থেকে শুরু হল দেশ জুড়ে।

দুপুর পর্যন্ত টিকাকরণে কোনও সমস্যা হয়নি। টিকা নেওয়ার পর কারও শরীরে কোনও সমস্যা হয়নি। বরং টিকা নেওয়ার পর আধ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে থেকে বার হওয়ার পর সকলেই খুশি টিকার প্রথম ডোজ পেয়ে।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এদিন আনুষ্ঠানিকভাবে টিকাকরণ কর্মসূচির সূচনা করেন। তারপরই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে শুরু হয়ে যায় টিকাকরণের কাজ।

কলকাতার মেডিক্যাল কলেজ, এসএসকেএম, পিয়ারলেস হাসপাতাল থেকে চেতলায় হচ্ছে টিকাকরণের কাজ। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গাতেও একইভাবে টিকাকরণ হচ্ছে। দেশ জুড়ে ৩ হাজার ৬টি কেন্দ্রে টিকাকরণ হচ্ছে।

টিকা দেওয়ার পর পর্যবেক্ষণ ঘরে রাখা হচ্ছে। প্রথম ডোজ নেওয়ার পর ২৮ থেকে ৩০ দিন পর ফের সকলকে আসতে বলা হয়েছে। তখন দেওয়া হবে দ্বিতীয় ডোজ।

ভারতে এদিন শুরু হয় টিকাকরণ। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন নিজে দাঁড়িয়ে অনেক জায়গায় টিকাকরণ বন্দোবস্ত পর্যবেক্ষণ করেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এদিন ১ বছরেরও কম সময়ের মধ্যে করোনার প্রতিষেধক টিকা তৈরি করে ফেলার জন্য বিজ্ঞানীদের ধন্যবাদ জানান।

সেইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী সকলকে মনে করিয়ে দেন করোনাকে হারাতে যেমন টিকা জরুরি, তেমনই জরুরি সতর্কতা। টিকার প্রথম ডোজ নিলেও সতর্কতা বজায় রাখতে হবে। কারণ শরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হবে দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পর। তার আগে মাস্ক পরা বা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা বা স্যানিটাইজার ব্যবহার বা হাত ধোয়া চালিয়ে যেতে হবে নিয়ম মেনেই। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Share
Published by
News Desk

Recent Posts