ফাইল : তুষারস্নাত জনপদ
নয়াদিল্লি : গত বছর শীতেই বিশ্ব জেনেছিল করোনা নামে এক রোগ ছড়াচ্ছে চিনে। যদিও তখন বিশ্বের জানা ছিলনা চিনে যে করোনা নামক রোগের কথা তারা শুনছে তা তাদের জীবনকে কার্যত নরক বানিয়ে ছাড়বে।
ক্রমে করোনা ছড়িয়েছে বিশ্বে। ভারতেও করোনার প্রথম সংক্রমিতের খোঁজ মেলে ওই শীতেই। ৩০ জানুয়ারি মেলে প্রথম সংক্রমিতের খবর। তারপর তা আস্তে আস্তে বাড়তে থাকে।
ভরা বসন্তে মার্চ মাসের শেষে গোটা দেশটা চলে যায় লকডাউনের গেরোয়। এরপর গ্রীষ্ম এসেছে। এসেছে বর্ষা। তারপর সেই বর্ষা পার করে এখন শরৎ কাল চলছে। হেমন্ত দরজায় কড়া নাড়ছে। কিন্তু দেশে সংক্রমণ কমা দূরে থাক বেড়েই চলেছে।
বিশেষজ্ঞেরা এখন আবার সতর্ক করছেন শীত নিয়ে। করোনাকে শীতের অসুখ হিসাবেই প্রথমে মনে করা হচ্ছিল। অনেকেই মনে করছিলেন শীত শেষ হয়ে চড়া গরম পড়লেই শেষ হবে করোনার উপদ্রব। কিন্তু তা বাস্তবে হয়নি।
বরং ইতিমধ্যেই প্রায় বছর ঘুরতে চলায় করোনা নিজেকে সব ঋতুর অসুখ হিসাবে প্রমাণ করেছে। যদিও বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন শীত করোনার আরও বাড়বাড়ন্তে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
করোনাকে ধরা হচ্ছে শ্বাসের রোগ হিসাবে। বিশেষজ্ঞেরা সেই সূত্র ধরেই মনে করছেন অন্য শ্বাস সংক্রান্ত ভাইরাসের মতই করোনাও শীতে আরও ক্ষমতাশালী হবে। যা ঠান্ডা ও শুকনো আবহাওয়ায় বেশি অ্যাকটিভ থাকে।
তারপর শীতে শুকনো আবহাওয়া, আর্দ্রতা অনেক কমে যাওয়ায় এই ভাইরাস আরও বেশি করে বাতাসে ভাসতে পারবে। যা করোনাকে কিছুটা বাতাসবাহিত রোগও করে তুলতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা এটাও মনে করছেন যে শীতে সূর্যের তেজ কমে। ফলে সূর্যের আলো শরীরে কম লাগে। যা থেকে কমে দেহে ভিটামিন ডি-র মাত্রা। ভিটামিন ডি-র মাত্রা দেহে কমা মানে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পাওয়া। যা করোনা সংক্রমণ ও চেপে বসার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়।
যদিও বিশেষজ্ঞরা এটাও জানিয়েছেন যে এগুলো তাঁদের অনুমান। শীত এলে বাস্তব ছবিটা পরিস্কার হবে। তাঁদের মতে, যতক্ষণ না করোনা প্রতিষেধক টিকা বার হচ্ছে ততদিন মুখে মাস্ক, সামাজিক দূরত্ব ও বারবার হাত ধোওয়াই করোনাকে দূরে রাখতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা