কথায় আছে, সবুরে মেওয়া ফলে। কঠিন তপস্যার পর অবশেষে মিষ্টি ফলই পেলেন ন্যাশনাল ওসিয়ানিক অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফেরিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন-এর বিজ্ঞানীরা। মেক্সিকান উপসাগরের গভীরে ২৩ দিন যাবত তন্নতন্ন করে খুঁজে অবশেষে এল সাফল্য।
উপসাগরের ৭ হাজার ৫০০ ফুট তলায় নিকষ কালো অন্ধকারে তাঁরা সন্ধান পেলেন এক আশ্চর্য নগরীর। সেই নগরীর বাসিন্দা এক ঝাঁক বাঁশের প্রবাল। প্রায় ১ হাজার বছরের বেশি সময় ধরে সমুদ্রের অতল খাতে বড় হয়ে উঠেছে তারা।
একে অপরকে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে নিজেদের রক্ষা করেছে। বংশবিস্তার করেছে। প্রকৃতি তাদের খিদে মেটাতে দিয়েছে অঢেল প্ল্যাঙ্কটন। তাই খেয়ে এতগুলো বছর পেট ভরিয়ে এসেছে বাঁশের প্রবাল বাগান।
তাদের সেই নির্ঝঞ্ঝাট রাজ্যপাটের হদিশ পেতে সম্প্রতি মেক্সিকান উপসাগরের অতলে ডুব দিয়েছিল কৃত্রিম উপগ্রহ নিয়ন্ত্রিত বিশেষ ধরণের যন্ত্র। সেই যন্ত্রই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার পশ্চিম উপকূলের সমুদ্র গহ্বরে আত্মগোপন করে থাকা প্রবাল সাম্রাজ্যের খোঁজ দেয় বিজ্ঞানীদের। শুধু প্রবাল উদ্যান নয়, তার আশেপাশে ঘুরে বেড়ানো বিচিত্র সামুদ্রিক প্রাণিদের সমাবেশ মুগ্ধ করেছে অভিযানকারী দলকে।
এদিকে সূর্যের আলোকরশ্মির সংস্পর্শহীন প্রবাল বাগান কিভাবে এতগুলো বছর ধরে প্রতিকূলতার সঙ্গে লড়াই করে নিজেদের টিকিয়ে রাখল? সেই রহস্যের উন্মোচন করাই এখন সমুদ্রপ্রাণ নিয়ে গবেষণারত বিজ্ঞানীদের পরবর্তী ‘মিশন’।