গ্রিনল্যান্ড শার্ক, ছবি - সৌজন্যে - উইকিমিডিয়া কমনস
পৃথিবীতে বহু রকমের প্রাণি রয়েছে। সকলের জীবনকাল আলাদা। তবে সেই জীবনকাল শতাধিক হয় খুব কম সংখ্যক প্রাণির। এমনকি মানুষও শতাধিক বছর কমই বাঁচে। বাঁচলেও অতিবৃদ্ধ অবস্থায় পৌঁছে যায় তারা। কর্মক্ষমতা বলে কিছুই প্রায় থাকেনা।
সেখানে পৃথিবীতে এমনও প্রাণি রয়েছে যাদের আবার ১৫০ বছর বয়স না হলে যৌবন আসেনা। তারা মিলনে সক্ষম হয়না। ফলে তাদের কম করে ১৫০ বছর বয়স না হলে সন্তানের জন্ম ক্ষমতাও তৈরি হয়না।
মনে হতে পারে তবে কি এ প্রাণি তিমিমাছ, নাকি কচ্ছপ, নাকি হাতি। তিমিমাছ বা কচ্ছপ বা হাতি কিন্তু নয়। তাহলে কোন প্রাণি?
একধরনের হাঙর রয়েছে, যাদের বলা হয় গ্রিনল্যান্ড শার্ক। এই গ্রিনল্যান্ড শার্ক হল সেই প্রাণি যারা বহু বছর বাঁচে। ৩০০ থেকে ৫০০ বছর পর্যন্ত বাঁচে এই হাঙররা।
বিজ্ঞানীরা এই হাঙরের চোখে থাকা প্রোটিন পরীক্ষা করে এদের বয়স সম্বন্ধে জানতে পারেন। এই গ্রিনল্যান্ড শার্ক এমন প্রাণি যারা খুব ধীরে বড় হয়। তাদের দেহ একবছরে অতি সামান্য বৃদ্ধি পায়।
বিজ্ঞানীরা পরীক্ষা করে দেখেছেন এদের দেহে যৌবন আসতে, অর্থাৎ এরা যুবা বয়সে পৌঁছতেই ১৫০ বছর লেগে যায়। তারপরই তারা সন্তানধারণে সক্ষম হয়। ঠান্ডা জলে থাকতে অভ্যস্ত এই হাঙর মূলত পাওয়া যায় উত্তর আটলান্টিক ও সুমেরু মহাসাগরে।