Lifestyle

জীবনের পরেও ভালবাসা নিয়ে বেঁচে থাকা যায় গাড়ি, মাছ, কাঁচা লঙ্কার বাহারি শয্যায়

ইহলোক ত্যাগের সঙ্গে মানুষের শখ, ভালবাসা, ভালোলাগাগুলোও শেষ হয়ে যায়। তবে তা বোধহয় একভাবে বাঁচিয়েও রাখা যায়। সেটাই এই দেশের প্রাচীন রীতি।

কেউ যদি চিরদিন গাড়িতেই যাতায়াত করেছেন, গাড়ি তাঁর বড় পছন্দের। তবে জীবনের হৃৎস্পন্দন স্তব্ধ হওয়ার পরও সেই পছন্দ বেঁচে থাকতে পারে? অবশ্যই সকলে মেনে নেবেন পারেনা। কিন্তু যদি তাঁর নিথর দেহের অনন্তশয্যায় সেই গাড়ি তাঁর চিরকালের সঙ্গী হয়! তাহলে তো তাঁর শখ বেঁচে রইল।

সেটাই বিশ্বাস করেন ঘানার মানুষ। তাই ঘানায় কফিন নিয়ে এক অন্যই বিলাসিতায় বিভোর হয়ে থাকেন সেখানকার বাসিন্দারা। তাই ঘানায় প্রাণত্যাগের পর মাটির তলায় অনন্ত শয্যার জন্য বাহারি কফিনে বিশ্বাস রাখেন সেখানকার মানুষজন। উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়ে দেওয়া যাক।

ধরে নেওয়া যাক এক ব্যক্তি সারাজীবন মাছ ধরে কাটিয়েছেন। তিনি মৎস্যজীবীও হতে পারেন। অথবা নিছক শখের মৎস্য শিকারি। ছিপ ফেলে নদীতে, পুকুরে মাছ ধরেন।

এমন মানুষের জন্য তৈরি থাকবে মাছের মত দেখতে কফিন। তাতেই শুইয়ে তাঁর নিথর দেহকে মাটির তলায় কবর দেওয়া হয়। এখন এই মানুষটিকে যদি কেউ রকেটের মত দেখতে কফিনে শুইয়ে দেন তাহলে তা তাঁর সারাজীবনের সঙ্গে মেলেনা।

তাই যিনি হয়তো কাঁচা লঙ্কা খেতে ভালবাসতেন তাঁর জন্য কাঁচা লঙ্কার মত দেখতে কফিন। যিনি কাঁকড়া পছন্দ করতেন তাঁর কাঁকড়ার মত দেখতে কফিন। কেউ গাড়ি ভালবাসতেন, তাঁর জন্য গাড়ির মত দেখতে কফিন। কেউ স্কুলে পড়িয়ে জীবন কাটিয়েছেন। তাঁর জন্য স্কুল বাড়ির মত কফিন।

এই ভাবে নানা মানুষের জীবনের সঙ্গে মিশে থাকা তাঁর শখ, ভালবাসা, পেশাকে সম্মান জানিয়ে তাঁকে জীবনের অনন্ত শয্যায় সেই বিষয়ক কফিনে শুইয়ে দেওয়া হয়। এ রীতি ঘানায় বহু প্রাচীন। ঘানায় তাই কফিন নিয়ে একটা বেশ চর্চা চলে বেঁচে থাকাকালীন।

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *