স্ত্রীকে অন্তঃসত্ত্বা করতে প্রতিবেশিকে ভাড়া করেন স্বামী, তারপর ঘটল অন্য কাণ্ড
তিনি শারীরিকভাবে অপারগ। এটা জানার পর এক ব্যক্তি তাঁর প্রতিবেশিকে ভাড়া করেন তাঁর স্ত্রীকে অন্তঃসত্ত্বা করার জন্য। কিন্তু বারংবার সেই মিলনের পর জানা যায় অন্য সত্য।
এক যুবক বিয়ে করেছিলেন এক অতীব সুন্দরী নারীকে। তাঁর জীবনসঙ্গিনী ছিলেন সুন্দরী প্রতিযোগিতার প্রাক্তন সেরা। এমন এক সুন্দরী নারীকে স্ত্রী হিসাবে পেয়ে বেজায় খুশি ছিলেন তিনি। স্ত্রী হিসাবে ওই নারীরও তাঁকে পছন্দ ছিল।
বেশ চলছিল তাঁদের দাম্পত্যজীবন। কিন্তু বারবার চেষ্টা করেও স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা হচ্ছিলেন না। সন্দেহ হওয়ায় ওই যুবক পরীক্ষা করান। আর পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর জানতে পারেন তিনি কখনও বাবা হতে পারবেননা।
কিন্তু তাঁরা ২ জনই সন্তান চাইছিলেন। তাই দিমিত্রিয়াস নামে ওই যুবক স্থির করেন স্ত্রীকে অন্তঃসত্ত্বা করতে প্রতিবেশি এক যুবকের সাহায্য নেবেন। ওই যুবকও বিবাহিত। তাঁর ২ সন্তান। তিনি ওই যুবককে মোটা টাকা দেওয়ার কথা জানান। শর্ত একটাই। তাঁর স্ত্রীকে অন্তঃসত্ত্বা করতে হবে।
সেই শর্ত মেনে ওই যুবক দিমিত্রিয়াসের সুন্দরী স্ত্রীর সঙ্গে সপ্তাহে ৩ বার করে মিলিত হতে থাকেন। এভাবে তাঁরা ৭২ বার মিলন করেন। ঘরের বাইরে বসে স্ত্রীর সঙ্গে অন্য যুবকের এই মিলন সহ্য করতেন দিমিত্রিয়াস।
কিন্তু ৭২ বার মিলনের পরও কিছু না হওয়ায় তাঁর সন্দেহ হয়। তিনি ওই যুবককেও পরীক্ষা করতে বাধ্য করেন। আর পরীক্ষার ফল যা বার হয় তাতে দেখা যায় ওই যুবকও পিতা হতে অক্ষম।
দিমিত্রিয়াস এবার তাঁর টাকা ফেরত চান। আদালতে মামলাও করেন। যদিও জার্মানির আদালত এমন এক শর্তের বৈধতা নিয়েই প্রশ্ন তোলে। অন্যদিকে ওই যুবকের সংসারেও তোলপাড় পড়ে যায়।
অবশেষে প্রতিবেশি ওই যুবকের স্ত্রীও স্বীকার করে নেন যে তাঁদের যে ২ সন্তান রয়েছে তার কোনওটিই তাঁর স্বামীর নয়। অন্য পুরুষের সঙ্গে মিলনের ফল। এই খবরটি পুরনো হলেও হালে সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ তোলপাড় ফেলে দেয়।













