সমুদ্রের তলায় মানুষের তৈরি ১১ হাজার বছর পুরনো দেওয়াল, কাদের তৈরি ইঙ্গিত মিলল
সমুদ্রের গভীরে খোঁজ পাওয়া গেল ১১ হাজার বছর আগে তৈরি এক দেওয়ালের। যা মানুষের তৈরি বলে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞেরা। কারা তৈরি করেছিল তারও ইঙ্গিত দিয়েছেন তাঁরা।

সমুদ্রের তলায় খোঁজ মিলল একটি পাথরের দেওয়ালের। দেওয়ালটি পাথরের খণ্ড দিয়ে তৈরি। দেড় হাজারের ওপর প্রস্তরখণ্ড ব্যবহার হয়েছে এই দেওয়ালটি তৈরি করতে। পাথরগুলি যে প্রকৃতির নিয়মে বহু বছর ধরে একে একে সেজে ওঠেনি সে বিষয়ে নিশ্চিত বিজ্ঞানীরা।
তাঁরা এটাও নিশ্চিত যে মানুষই সাজিয়ে গুছিয়ে এই দেওয়াল নির্মাণ করেছিল। এই দেওয়ালটিই ইউরোপে পাওয়া এখনও পর্যন্ত মানুষের তৈরি সবচেয়ে পুরনো নির্মাণ। তাহলে কি সে সময়ে মানুষ জলের তলায় নেমে এই দেওয়াল তৈরি করেছিলেন?
এই প্রশ্ন মনে আসতেই পারে। বিশেষজ্ঞেরা এই দেওয়ালের খোঁজ পেয়েছেন জার্মানির বাল্টিক সাগরের তলায়। তবে তাঁরা এটাও পরীক্ষা করে দেখেছেন যে সাড়ে ৮ হাজার বছর ধরে ওই দেওয়াল জলের তলায় ডুবে আছে।
কিন্তু দেওয়ালটির বয়স ১১ হাজার বছরের মত। অর্থাৎ যখন সেটি তৈরি হয়েছিল তখন সেটি স্থলেই তৈরি হয়েছিল। হয়তো সে সময় সেটি তৈরি হয়েছিল জলের ধারে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেটি বাল্টিক সাগরের তলায় তলিয়ে যায়। কিন্তু প্রায় ১ কিলোমিটার লম্বা দেওয়ালটি এতটাই শক্তপোক্ত করে তৈরি করা হয়েছিল যে তা এখনও অটুট।
কেন এমন দেওয়াল তৈরি করা হয়েছিল? কারাই বা তৈরি করেছিল? বিজ্ঞানীদের অনুমান এটা তৈরি করেছিল তখন সেখানে বসবাসকারী শিকারি মানুষজন। যাঁরা চাষাবাদ করতে জানতেন না। শিকার করে আর জঙ্গলের অন্যান্য খাবার দিয়ে তাঁদের জীবন চলত।
তাঁরা এই দেওয়াল তৈরি করেছিলেন যাতে জঙ্গলের পশুদের এই দেওয়াল ধরে একটি দিকে আটকে দেওয়া যায়। তাতে তাঁদের শিকার করতে সুবিধা হত। সেই পাথরের তৈরি দেওয়ালটি পাওয়া গিয়েছে বাল্টিক সাগরের তলায়। যা ইউরোপের সবচেয়ে পুরনো মানুষের তৈরি নির্মাণ হিসাবে পরিগণিত হচ্ছে।