World

দেশের বাসিন্দারা যত পারছেন বাড়িতে মোমবাতি জমিয়ে চলেছেন

মোমবাতি কোথায় পাওয়া যাচ্ছে তা জানতে পারলেই সেখানে উপচে পড়ছে ভিড়। যত পারছেন মোমবাতি কিনে বাড়িতে জমাচ্ছেন দেশের বাসিন্দারা।

Published by
News Desk

মোমবাতি কাজে লাগে ঠিকই, তবে এতটাও নয়। কিন্তু জার্মানিতে এখন প্রতিটি পরিবারে সব কেনাকাটা ছেড়ে শুধু চলছে মোমবাতি কেনা। যত পারছেন মোমবাতি কিনে বাড়িতে জমা করছেন বাসিন্দারা।

অনেক জমা করেও তাঁদের সাধ মিটছে না। কোথাও মোমবাতি পাওয়া যাচ্ছে খবর পেলেই তাঁরা ছুটছেন সেখানে। যা দাম নেয় নিক, কিন্তু মোমবাতি চাই। এটাই এখন জার্মানদের একমাত্র চাহিদা।

ফলে মোমবাতি নিমেষে শূন্য হয়ে যাচ্ছে দোকানের তাক থেকে। আরও মোমবাতি আনানো হচ্ছে। সেটাও শেষ হয়ে যাচ্ছে। ফলে দোকানে মোমবাতির যোগান ধরে রাখতে হিমসিম খাচ্ছেন বিক্রেতারা। অন্যদিকে মোমবাতি উৎপাদনকারী সংস্থাগুলি এখন রাতদিন এক করে চাহিদা পূরণের জন্য মোমবাতি বানিয়ে চলেছে।

কিন্তু এমন কি হল যে আচমকা জার্মানি জুড়ে এভাবে মানুষ পাগলের মত মোমবাতি কিনে বেড়াচ্ছেন? কারণ রয়েছে। এর সূত্রপাত রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধ শুরু হওয়া।

জার্মানি হল ইউরোপের সেই দেশ যারা রাশিয়ার কাছ থেকে সবচেয়ে বেশি প্রাকৃতিক গ্যাস কিনত। কিন্তু যুদ্ধ শুরুর পর রাশিয়া থেকে গ্যাস আসা ক্রমশ কমতে থাকে।

এরমধ্যে বাল্টিক সাগরে রাশিয়ার একটি গ্যাস পাইপলাইনে বিস্ফোরণ হয়। ফলে জার্মানিতে প্রাকৃতিক গ্যাস আসা আরও মুশকিল হয়।

এখন তো রাশিয়া থেকে প্রাকৃতিক গ্যাস আর আসছেই না জার্মানিতে। যদিও জার্মানি এর বিকল্প পথ খুঁজতে ব্যস্ত। তবে জার্মানির বাসিন্দার এই খবরে আশঙ্কায় ভুগতে শুরু করেছেন।

তাঁদের আশঙ্কা এরফলে আগামী দিনে দেশে বিদ্যুতের ঘাটতি দেখা দেবে। ফলে বাড়িতে আলোর জন্য লাগবে মোমবাতি। লোডশেডিং একবার শুরু হয়ে গেলে যদি মোমবাতি বিক্রি হয়ে যায় তাই আগেভাগেই তাঁরা সকলে চাইছেন যথেষ্ট মোমবাতির মজুত বাড়িতে রাখতে। যাতে লোডশেডিং বাড়লেও বাড়িকে আলোকিত রাখতে সমস্যা না হয়।

Share
Published by
News Desk
Tags: Germany

Recent Posts