ছাদ ফুটো করা অগ্নিগোলকের বয়স পৃথিবীর চেয়েও বেশি, খোঁজ পেলেন বিজ্ঞানীরা
এক গৃহস্থের ছাদ ফুটো করে মেঝেতে আছড়ে পড়ে মেঝেতেও গর্ত করে দেওয়া সেই অগ্নিগোলকের রহস্য উন্মোচন করলেন বিজ্ঞানীরা। সামনে এল আজব তথ্য।

সময়টা গত জুন মাসের শেষের দিক। এক গৃহস্থের বাড়ির ছাদের ওপর আছড়ে পড়ে, ছাদ ফুটো করে ঘরে ঢুকে আসে একটি অগ্নিগোলক। ঘরের মেঝেতে আছড়ে পড়ার পর মেঝেতে একটা গর্ত করে দেয় সেটি। তারপর সেখানে আটকে যায়।
আতঙ্ক ছড়াতে সময় নেয়নি। দ্রুত খবর যায় প্রশাসনের কাছে। প্রশাসনের তরফ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। সেই অগ্নিগোলকটিকে গৃহস্থের বাড়ি থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর শুরু হয় সেটির পরীক্ষা।
আকাশ থেকে নেমে আসা সেই অগ্নিগোলক পরীক্ষার পর অবশেষে জর্জিয়া বিশ্ববিদ্যালয় সেটির সম্বন্ধে তাক লাগিয়ে দেওয়া তথ্য সামনে আনল। বিশেষজ্ঞেরা তা পরীক্ষার পর জানিয়েছেন ওই উল্কাপিণ্ডটি আদপে পৃথিবীর চেয়েও বয়স্ক।
তার বয়স পৃথিবীর চেয়েও ২০ মিলিয়ন বছর বেশি। ৪.৫৬ বিলিয়ন বছর আগে সেটি জন্ম নিয়েছিল। তারপর মহাকাশেই অবস্থান করছিল। যেটি এতদিন পর পৃথিবীর উপর আছড়ে পড়ল।
যে অগ্নিগোলক সেদিন এক গৃহস্থের বাড়ির ছাদ ফুটো করে এভাবে ঘরের মেঝেতে এসে আছড়ে পড়ে সেটি দেখতে ছিল একেবারেই অচেনা। শুধু একটাই ভাল খবর যে সেদিন ঠিক ওইখানে বাড়ির কেউ ছিলেননা।
ফলে বাড়ির ক্ষতি হলেও বাড়ির কোনও সদস্যের কোনও ক্ষতি হয়নি। সেই অগ্নিগোলক ওই গৃহস্থের বাড়িতে আছড়ে পড়লেও সেটি বহু দূরের মানুষেরও নজর কেড়ে নিয়েছিল। এমনকি অন্য শহরের মানুষও সেটি দেখতে পান। আকাশ থেকে আগুনের একটি গোলা নেমে আসছে নিচের দিকে। ছবিও তোলেন অনেকে।
এদিকে সেটি আছড়ে পড়ার পর সেটি পরীক্ষার জন্য নিয়ে যায় প্রশাসন। সেই পরীক্ষার ফল হিসাবেই বেরিয়ে এল এই পৃথিবীর চেয়েও প্রাচীনের তত্ত্ব। আমেরিকার জর্জিয়ার এক বাড়িতে উল্কাপিণ্ডটি আছড়ে পড়েছিল।