National

প্রাচীন শহর ছোঁয়া পুণ্য নদীর জলে মারণ মিশেল

নদীর বয়ে যাওয়া জলে এ কি পেলেন বিজ্ঞানীরা। তাঁরা নিজেরাও তা দেখে অবাক। এদিকে সেই জলই ব্যবহার হচ্ছে চুটিয়ে।

Published by
News Desk

প্রথমেই জানিয়ে রাখা ভাল যে নদীর জলে শহরের জঞ্জাল এসে তাকে দূষিত করছে এমনটা নয়। কারণ অধিকাংশ শহরের গা ঘেঁষে বয়ে যাওয়া নদীর জলে এসে মেশে শহরের নিকাশি নালা দিয়ে বয়ে আসা নোংরা জল ও জঞ্জাল। যা নদীর জলকে দূষিত করে থাকে। এক্ষেত্রে কিন্তু ভারতের প্রাচীনতম শহরের গা দিয়ে বয়ে যাওয়া পুণ্য গঙ্গার জলে পাওয়া গেল অন্য কিছু। যা দেখে হতবাক বিশেষজ্ঞেরা।

তাঁরা এখনও জলে মেশা এই বিষের হদিশ পাননি। এদিকে বারাণসী শহরের গা ঘেঁষে বয়ে যাওয়া গঙ্গার জল দেদার ব্যবহার হচ্ছে। স্থানীয় মানুষ ব্যবহার করছেন। তাতে স্নান করছেন বহু পুণ্যার্থী।

এমনকি সাংসারিক প্রয়োজনেও গঙ্গার ধারের মানুষ গঙ্গার জল ব্যবহার করে থাকেন। ফলে তাঁরা চরম ঝুঁকির সম্মুখীন। সেই সঙ্গে আর এক বড় সমস্যা হল মাছ। যা বিজ্ঞানীদেরও ভাবাচ্ছে। বারাণসীর গঙ্গা থেকে প্রচুর মাছ ধরা হয়। যা বারাণসী সহ আশপাশের মানুষের দৈনন্দিন খাবারের কাজে লাগে।

বিশেষজ্ঞেরা চিন্তিত এটা ভেবে যে এই গঙ্গার জলে মেশা ভারী ধাতু মাছের পেটেও যাচ্ছে। যা তাদের শরীরে থেকে যাচ্ছে। আর সেই মাছই খাচ্ছেন মানুষজন।

এভাবে জলে ক্ষতিকারক ভারী ধাতু যেমন পারদ, ম্যাঙ্গানিজ, ক্যাডমিয়াম, ক্রোমিয়াম মিশে থাকা একাধারে বারাণসী সহ আশপাশের স্থানীয় মানুষ সহ পুণ্যার্থী এবং মাছদের জন্য সংশয়ের কারণ হয়ে উঠেছে।

কিন্তু গঙ্গার জলে এগুলি ভারী মাত্রায় পাওয়া গিয়েছে। কোথা থেকে এগুলি মিশছে তা এখনও অজানা। তবে এভাবে যদি গঙ্গার জলে ভারী ধাতু মিশতে থাকে তাহলে এখানকার মানুষ ও জলজ প্রাণির জন্য ভবিষ্যৎ অন্ধকার। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Share
Published by
News Desk

Recent Posts