National

৬৬ ফুটের হওয়ার হলেও এবার ৪০ ফুটেই চক্ষু ছানাবড়া দর্শনার্থীদের

গণেশ চতুর্থীতে প্রতিবছর খয়রতাবাদের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হল সুবিশাল গণেশ মূর্তি। যা উচ্চতার নিরিখে গতবারের পর এবারও প্রথা ভাঙল। তাতেও চক্ষু ছানাবড়া দর্শনার্থীদের।

Published by
News Desk

এ পুজোর সবচেয়ে বড় আকর্ষণ এর বিগ্রহের আকার। যা উচ্চতায় বাড়তেই থাকে। এখানে প্রতি বছর ১ ফুট করে বাড়ে গণেশের মূর্তির উচ্চতা। এটাই এখানকার বিশেষত্ব।

সেভাবে দেখতে গেলে গত ২০১৯ সালে তার উচ্চতা হয়েছিল ৬৫ ফুট। ২০২০-তে ছোট ঠাকুরে পুজো হয়। এ বছর মনে করা হয়েছিল ৬৬ ফুট হবে উচ্চতা।

কিন্তু গত বছর করোনার কারণে এই মূর্তি সব প্রথা ভেঙে উচ্চতায় নেমে আসে ৯ ফুটে। তাও বিশেষ অনুমতি নিয়ে। এবার অবশ্য অতটা কড়াকড়ি নেই। তবে ৬৬ ফুটও করা হয়নি উচ্চতা। এবারও প্রথা ভাঙল। উচ্চতা হল ৪০ ফুট। তাতেই দর্শনার্থীদের চক্ষু ছানাবড়া।

এ পুজোর আরও এক বিশেষত্ব হল প্রতিবার গণেশ বিভিন্ন রূপে প্রকাশিত হন। গত বছর ৯ ফুটের মূর্তিতে গণেশ প্রকাশিত হয়েছিলেন ধন্বন্তরি রূপে। এবার তিনি প্রকাশিত হয়েছেন পঞ্চ মুখ রুদ্র গণপতি রূপে।

প্রতিবার এই সুবিশাল মূর্তি তৈরি করতে শতাধিক শিল্পী দিনরাত এক করে লড়াই করেন। মূর্তি তৈরি করা হয় প্যান্ডেলেই। কিন্তু ভাসান হয় কাছের হুসেন সাগর লেকে। খুব দূরে নয়।

কিন্তু সুবিশাল মূর্তি সেইটুকু নিয়ে যেতে হিমসিম খেয়ে যান উদ্যোক্তারা। নিয়ে আসা হয় বেশ কয়েকটি ক্রেন। তারপর তা খুব সন্তর্পণে টেনে নিয়ে যাওয়া হয়।

মূর্তি জলে পড়তে সময় লেগে যায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা। এমনও দেখা গেছে বেশ কয়েকবার ভাসান সম্পূর্ণ করতে একটা দিন পার হয়ে গেছে।

এবার হায়দরাবাদের কাছে এই পুজোয় মূর্তি নেমে এসেছে ৪০ ফুটে। তবে তাই দেখতে আশপাশের মানুষের ভিড় লেগে আছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Share
Published by
News Desk

Recent Posts