সমুদ্রতটে ভেসে আসা ট্রাঙ্ক, ছবি – সৌজন্যে – ইন্সটাগ্রাম - @fortmatanzasnps
কথায় বলে সমুদ্রে কিছু নেয় না। কোনও না কোনও দিন ঠিক ফিরিয়ে দেয়। কাহিনি থেকে বাস্তব, অনেক সময় দেখা গেছে কাগজে বার্তা লিখে বা উদ্ধারের আর্তি জানিয়ে মুখবন্ধ বোতলে পুরে সমুদ্রে ফেলার রেওয়াজ ছিল। যা এখনও মাঝে মধ্যে সমুদ্রের কোনও এক তটে এসে আটকে যায়। সে যত বছর পুরনোই হোক না কেন!
এমনই একটি প্রায় শতবর্ষ পুরনো ট্রাঙ্ক এবার তীরে এসে ঠেকল সমুদ্রের ঢেউয়ে ভেসে। ট্রাঙ্কটি সমুদ্রের বালুকাবেলায় পড়ে আছে দেখে অনেকেই অবাক হয়ে যান। রহস্যময় সেই ট্রাঙ্কটি ঘিরে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
ট্রাঙ্কটিতে গুপ্তধনও থাকতে পারে ভেবে ভিড় আরও বেড়ে যায়। অনেকেই চরম কৌতূহল নিয়ে ট্রাঙ্কটির মুখ খোলার অপেক্ষায় ছিলেন।
জলে দীর্ঘ সময় থাকার ফলে ট্রাঙ্কটির হাল বেহাল হয়ে গিয়েছিল। তবে ওপরের অংশ নষ্ট হলেও ট্রাঙ্কটি আস্ত ছিল। মুখ ছিল বন্ধ।
আমেরিকার ফ্লোরিডার একটি সমুদ্রতটে ভেসে আসা ট্রাঙ্কটির খবর পেয়ে সেখানে এসে তার মুখটি খোলেন ওই সমুদ্রতটের পার্কের দায়িত্ব থাকা কর্মীরা। যদিও ট্রাঙ্কের মধ্যে তেমন উল্লেখযোগ্য কিছু পাওয়া যায়নি। গুপ্তধন তো নয়ই।
তবে ১৯৩০-এর দশকের এই ট্রাঙ্কটি নিজেই একটি ঐতিহাসিক নিদর্শন বলে দাবি করেছেন বিশেষজ্ঞেরা। ফলে সেটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়। ট্রাঙ্কটি নিউ জার্সির একটি সংস্থার তৈরি বলেও জানানো হয়েছে। ট্রাঙ্কগুলির নাম নেভারব্রেক ট্রাঙ্ক।