মায়ামি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, ছবি - সৌজন্যে - উইকিমিডিয়া কমনস
বিমানের ডানা ২টি দেখা যায় ঠিকই, তবে বেড়ানোর জায়গা নয়। সেখানে পৌঁছনোও কোনও যাত্রীর এক্তিয়ারের বাইরে। যেমন এক্তিয়ারের বাইরে বিমানের আপৎকালীন দরজা খুলে ফেলা।
তবে যাত্রীদের কার যে কি শখ হয় তা তো আর বিমানকর্মীদের বোঝা সম্ভব নয়। যেমন এক ব্যক্তির শখ হয়েছিল বিমানের ডানায় একটু পায়চারি করে দেখবেন। কিন্তু বিমানের ডানায় পৌঁছবেন কীভাবে? একটাই রাস্তা। বিমানের আপৎকালীন দরজা খুলে ফেলা।
বিমানের আপৎকালীন দরজা খুললে সামনে পড়ে বিমানের ডানা। সেভাবেই বিমানের আপৎকালীন দরজা রাখা হয়। সেই দরজা সকলের অলক্ষ্যে খুলে ডানায় নেমে পড়েন ওই ব্যক্তি। তারপর ডানায় হেঁটে বেড়াতে থাকেন।
বিমানটি তখন সবে মায়ামি বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে। রাতের অন্ধকারে বিমানবন্দরের আলো ভরসা। যাত্রীরা বিমান থেকে তখনও নামেননি।
সবে অবতরণের পর স্থির হওয়া বিমানের আপৎকালীন দরজা খুলে বেরিয়ে পড়েন ওই যাত্রী। তারপর বিমানের ডানার ওপর মনের আনন্দে পায়চারি করতে থাকেন।
বিষয়টি দ্রুত নজরে পড়ে বিমানকর্মীদের। হৈহৈ করে ছুটে আসেন তাঁরা। তারপর ওই ব্যক্তিকে বিমানের ডানা থেকে সন্তর্পণে সরিয়ে এনে দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়।
ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। তবে ওই ব্যক্তির এভাবে ডানায় নেমে পড়ায় কোনও ক্ষতি হয়নি। কিন্তু এভাবে আইন ভাঙায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।