মহাকাশে নভশ্চরদের খাবার তৈরি হবে তাঁদেরই প্রস্রাব দিয়ে, সেই চেষ্টায় ব্যস্ত বিজ্ঞানীরা
মহাকাশে আগামী দিনে দীর্ঘসময় থাকার পরিকল্পনা চলছে। অতদিন থাকতে গেলে তো খাবার দরকার। সেই খাবার তৈরির জন্য মহাকাশচারীদের প্রস্রাবেই ভরসা রাখতে চাইছেন বিজ্ঞানীরা।
শুধু আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনেই বড় সময় কাটানো নয়, এবার চাঁদ ও মঙ্গলগ্রহে দীর্ঘসময়ের জন্য মহাকাশচারীদের পাঠানোর পথে হাঁটতে চলেছে নাসা থেকে শুরু করে ভারতের ইসরো। সেই পরিকল্পনাকে সামনে রেখে তারা লড়াই চালাচ্ছে দীর্ঘমেয়াদী মহাকাশবাস নিয়ে।
এমনকি আগামী দিনে তো চাঁদে এবং মঙ্গলে পাকাপাকি থাকার জন্য কলোনি তৈরির চিন্তাভাবনাও চলছে। এমন দীর্ঘমেয়াদী মহাকাশবাসের ক্ষেত্রে কত খাবার আর বয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব! তাই খাবার তৈরির ব্যবস্থা যে মহাকাশেই করতে হবে তা বুঝে গেছেন বিজ্ঞানীরা। কিন্তু মহাকাশে খাবার তৈরি হবে কীভাবে?
বিজ্ঞানীরা এবার সেই রাস্তাই পরিস্কার করার সবরকম চেষ্টা শুরু করেছেন। তাঁরা মহাকাশেই খুব পাতলা বাতাসে মহাকাশচারীদের প্রস্রাবকে ব্যবহার করে খাবার তৈরির রাস্তায় হাঁটার পথ খুলছেন।
কারণ মানুষের প্রস্রাবে ইউরিয়া থাকে। যা রান্না হতে কাজে লাগানো হবে। মহাকাশে যাতে মহাকাশচারীরা সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যকর খাবার পেতে পারেন সে ব্যবস্থা পাকা করার পথে মহাকাশচারীদের প্রস্রাবে ভরসা রাখতে চাইছেন বিজ্ঞানীরা।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এই মহাকাশচারীদের প্রস্রাব থেকে খাবার তৈরির খবরটি বেশ হইচই ফেলে দিয়েছে। অনেকে বিষয়টি শুনে প্রাথমিকভাবে নাক সিটকোচ্ছেন।
প্রসঙ্গত এর আগেও মহাকাশচারীদের পায়খানাকে প্রক্রিয়াজাত করে ফের নতুন খাবারে রূপান্তরিত করা নিয়ে লম্বা সময় গবেষণা হয়েছিল। মহাকাশ গবেষণায় মহাকাশচারীদের দীর্ঘসময় ধরে মহাকাশে থাকার ব্যবস্থা যদি পাকাও করা যায়, তাহলেও খাবারের ব্যবস্থা নিশ্চিত না করলে তাঁদের এই দীর্ঘমেয়াদী মহাকাশ সফর অধরাই থেকে যাবে বলে মনে করেন অনেকেই।

