Entertainment

দ্বিখণ্ডিত, ৪৯ বুদ্ধিজীবীকে পাল্টা দিলেন ৬১ বুদ্ধিজীবী

Published by
News Desk

দেশ জুড়ে অসহিষ্ণুতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে, জয় শ্রীরাম ধ্বনিকে নিয়ে প্রশ্ন তুলে সে বিষয়ে দেশ জুড়ে ছড়িয়ে পড়া গণপিটুনির ঘটনা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে চিঠি দিয়েছিলেন ৪৯ জন বুদ্ধিজীবী। যাঁদের মধ্যে রয়েছেন আদুর গোপালকৃষ্ণণ, মণিরত্নম, অপর্ণা সেন, বিনায়ক সেন, কঙ্কনা সেনশর্মা, কৌশিক সেন, গৌতম ঘোষ, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, অনুরাগ কাশ্যপ সহ ৪৯ জন।

সেই চিঠির পাল্টা এবার খোলা চিঠি দিলেন ৬১ জন বুদ্ধিজীবী। এঁদের মধ্যে রয়েছেন প্রসূন যোশী, কঙ্গনা রানাওয়াত, মধুর ভান্ডারকর, ভীষ্ম মোহন ভাট, বিবেক অগ্নিহোত্রী, সোনাল মান সিং প্রমুখ।

এঁদের পাল্টা দাবি, কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনাকে কেন্দ্র করে এভাবে দেশের বদনাম করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। জাতীয়তাবাদকে শক্তিশালী করার চেষ্টা করছেন। যাঁরা অসহিষ্ণুতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন তাঁরা কোথায় থাকেন যখন প্রান্তিক মানুষজন মাওবাদীদের আক্রমণের শিকার হন, যখন আদিবাসীরা অত্যাচারের শিকার হন, যখন কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা স্কুল জ্বালিয়ে দেয়। তখন কেন তাঁরা চুপ থাকেন? সুর চড়িয়ে এঁরা আরও লিখেছেন, ৪৯ জনের খোলা চিঠিতে সততার অভাব দেখা যাচ্ছে, দেখা যাচ্ছে সুযোগসন্ধানী দিকও।

যাঁরা আগে চিঠি দিয়েছিলেন তাঁরা সরকারের বিরোধিতা করতে গিয়ে জাতীয়তাবাদের বিরোধিতা করছেন বলেও অভিযোগ করেন কঙ্গনা রানাওয়াত, মধুর ভান্ডারকররা। বরং এঁদের গণপিটুনি বন্ধ করার জন্য সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধিতে জোর দেওয়া উচিত বলেও পরামর্শ দেন তাঁরা। এর ফলে সরাসরি দ্বিখণ্ডিত হয়ে গেল ভারতের বুদ্ধিজীবী সমাজের একাংশ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Share
Published by
News Desk