World

২ হাজার বছর আগেও ক্রুজে করে প্রমোদভ্রমণে যেতেন মানুষ, মিলল সে জাহাজ

আজকের দিনে যা ক্রুজ তা যে ২ হাজার বছর আগেও ছিল তা অবাক করেছে গবেষকদেরও। তেমনই এক প্রমোদতরীর খোঁজ মিলল। যেখানে রাতভর চলত আনন্দ ফুর্তি।

মিশর শব্দটা শুনলেই মনের মধ্যে উঁকিঝুঁকি দেয় রহস্যের গল্প। রহস্যের মধ্যে শুধু পিরামিড বা মমিই নেই, রয়েছে আরও অনেককিছু। রয়েছে মিশরীয়দের জীবনযাত্রার বহু অজানা দিক। যা প্রত্নতাত্ত্বিকদের নিরলস প্রচেষ্টায় সকলের সামনে উন্মোচিত হয়ে চলেছে।

আলেকজান্দ্রিয়ার একটি বন্দরে খননকার্য চালাতে গিয়ে প্রত্নতাত্ত্বিকরা সন্ধান পেয়েছেন একটি জাহাজের। পুরো জাহাজটি পাওয়া যায়নি। জাহাজের ধ্বংসাবশেষের খোঁজ মিলেছে। যা সমুদ্রের গভীরে পলিতে ঢাকা ছিল। লম্বায় প্রায় ৩৫ মিটার এবং চওড়ায় ৭ মিটার ছিল এই জাহাজ।

জাহাজটির বিশেষত্ব লুকিয়ে রয়েছে অন্য এক জায়গায়। এই মুহুর্তে যা আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। প্রত্নতাত্ত্বিকরা নিশ্চিত যে এটি ছিল একটি বিলাসবহুল প্রমোদতরী। যা সে সময় বিরল। প্রাচীন মিশরীয় রাজা বা অভিজাতরা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ব্যবহার করতেন এই জাহাজ। তা হতে পারে অবসরযাপন কিংবা ধর্মীয় উৎসবের অংশ।

তৎকালীন মিশরের রাজধানী ও সবচেয়ে সমৃদ্ধ জনপদ ছিল আলেকজান্দ্রিয়া। বড় বড় প্রাসাদ এবং বিভিন্ন স্থাপত্যে ঘেরা সেই শহরের সর্বত্র ছিল বিলাসিতার ছাপ। শহরেরই একটি দ্বীপে জাহাজটি পাওয়া গিয়েছে। বিশেষভাবে নকশা করা এই জাহাজের নিচটা ছিল সমতল। দাঁড় টেনেই একে চালানো হত।

অভিজাতরা প্রমোদভ্রমণের জন্য এবং বিভিন্ন অনুষ্ঠানে এই প্রমোদতরীটি ব্যবহার করতেন। প্রায় প্রতিরাতেই জাহাজে বাঁশি বাজিয়ে গানবাজনা চলত। সঙ্গে নৃত্য। যা দেখতে ভিড় জমে যেত।

গবেষকেরা মনে করছেন, ৫০ খ্রিস্টাব্দ নাগাদ কোনও বিপর্যয়ের কারণে জাহাজটি ডুবে যায়। তবে এই জাহাজটির সন্ধান তৎকালীন আলেকজান্দ্রিয়ার অভিজাত সম্প্রদায়ের বিলাসিতার নতুন দিক সামনে আনল।

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *