মিশরে উদ্ধার হওয়া প্রত্নসম্পদ, ছবি - আইএএনএস
ওখানে যে কিছু থাকতে পারে সেটা অনুমান করেই প্রত্নতাত্ত্বিকরা মাটি খোঁড়া শুরু করেছিলেন। যত্ন করে খোঁড়া হচ্ছিল মাটি। তাঁদের অনুমান ভুল নয়। মাটি খুঁড়তে খুঁড়তে এক জায়গায় উঁকে দেয় এক মন্দির। এক রানির মন্দির।
রানির নাম হাতশেপুত। যিনি আনুমানিক যিশুখ্রিস্টের জন্মেরও প্রায় দেড় হাজার বছর আগে মিশরের লাক্সার এলাকায় রাজত্ব করতেন। তাঁরই সমাধি একটি মন্দিরের আকারে রয়েছে মাটির তলায়।
এতদিন তার কথা কেউ জানত না। অবশেষে তা উদ্ধার হল। আর সেকথা নিশ্চিত করেছে মিশরের পর্যটন মন্ত্রক। মিশর মানেই যেন রহস্যে মোড়া এক অজানা জগত।
যেখানে মাটির তলায় যে কত কিছু লুকিয়ে রয়েছে তা এখনও নির্দিষ্ট করে বলতে পারবেননা তাবড় বিশেষজ্ঞও। যেমন এতদিন পর এই সাড়ে ৩ হাজার বছর পুরনো ইতিহাস উঁকি দিল।
খননের ফলে প্রত্নতাত্ত্বিকরা ১ হাজারের বেশি প্রস্তরখণ্ড ও পাথরের টুকরো উদ্ধার করেছেন। যার ওপর অনেক লিপি খোদাই করা রয়েছে। যা আদপে খ্রিস্টপূর্ব দেড় হাজার বছর থেকে ১ হাজার ২০০ বছরের মধ্যের ইতিহাসের বর্ণনা বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা।
ফলে সে সময়ের অনেক তথ্যই এই শিলালিপি দেখে সামনে আসতে পারে। রানি হাতশেপুতের নামাঙ্কিত প্রস্তরখণ্ডও উদ্ধার হয়েছে। এখানে যে সমাধিটি পাওয়া গিয়েছে তা পাথর কেটে তৈরি করা হয়েছে। কারণ পুরোটাই একটা উপত্যকায় অবস্থিত। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা