SciTech

মমির চিৎকারের রহস্যভেদ করলেন চিকিৎসক

আর্তনাদ করা মহিলা বা স্ক্রিমিং ওম্যান-র মমি নিয়ে যে ধারনা এতদিন ছিল তা একেবারেই ভুল প্রমাণ করে রহস্যের জট ছাড়ালেন এক চিকিৎসক।

Published by
News Desk

এ মমি দীর্ঘদিন ধরেই চর্চার কেন্দ্রে। মিশরে অনেক মমিই উদ্ধার হয়েছে। তার মধ্যে যে কটি মমি নিয়ে গবেষকেরা দীর্ঘকাল নতুন তথ্যের খোঁজ চালিয়ে এসেছেন, রহস্যের জট ছাড়ানোর চেষ্টা করেছেন, তার মধ্যে এই মহিলার মমি একটি।

এই মমিটি পাওয়া গিয়েছিল ১৯৩৫ সালে। এখানে স্পষ্টই মহিলা যন্ত্রণায় চিৎকার করছেন। বিজ্ঞানী গবেষকদের এতদিন ধারনা ছিল মহিলার মমিটি যখন করা হয়, তখন অবহেলার সঙ্গে তা করা হয়েছিল। মোটেও গুরুত্ব দেওয়া হয়নি মহিলার দেহকে মমিতে রূপান্তর নিয়ে।

তার কারণ মহিলার দেহের ভিতরের অনেক দেহাংশ বার করে নেওয়া সম্ভব হয়নি। কিন্তু সে ধারনা একেবারেই বদলে দিলেন কায়রো বিশ্ববিদ্যালয়ের রেডিওলজিস্ট সহর সালিম।

তিনি সিটি স্ক্যান, ইলেকট্রন মাইক্রোস্কোপি-র মত আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহার করার পর জানান, এতদিন যে মমিটি তৈরিতে গুরুত্ব না দেওয়ার কথা বলা হয়ে আসছে তা একেবারেই ভুল। বরং ওই মহিলার মমি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে যত্ন করে করা হয়েছিল।

মহিলার বয়স ছিল ৪৮ বছর যখন তাঁর জীবন শেষ হয়। তিনি বাতের সমস্যায় ভুগছিলেন। সহরের ধারনা বাতের সমস্যার কারণে যন্ত্রণা হত। যখন মহিলার শেষ অবস্থা, তখন বাতের যন্ত্রণার কারণে তাঁর দেহের পেশীগুলি আটকে যায়।

আর সে সময়ই তিনি ইহলোক ত্যাগ করেন। যার ফলে তাঁর যন্ত্রণায় চিৎকার রত অবস্থাতেই দেহটি নিথর হয়। ফলে সেই অবস্থাতেই তাঁকে মমিকৃত করতে হয়।

তবে মহিলার দেহের বাকি অংশ, মস্তিষ্ক, হৃদযন্ত্র, ফুসফুস, যকৃত, ক্ষুদ্রান্ত্র সহ সবই ভাল ছিল। আর তা এখনও রয়ে গেছে দেহের মধ্যেই।

তাঁকে যখন মমি করা হয় তখন যথেষ্ট সোনা ও রূপোর গয়না দেওয়া হয়েছিল। তবে বিজ্ঞানীরা এতদিনেও যে রহস্যের জট ছাড়াতে পারেননি, তা এতদিনে পরিস্কার করে দিলেন সহর সালিম। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Share
Published by
News Desk
Tags: Egypt

Recent Posts