SciTech

আড়াই হাজার বছর পুরনো মমির জিভ প্রত্নতাত্ত্বিকদেরও অবাক করল

মমি তো এখনও উদ্ধার হয়। যার মূল্য অমূল্য। তেমনই এক মমির জিভের দিকে তাকিয়ে হতবাক হয়ে গেলেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা। তা নিয়ে এবার গবেষণাও শুরু হয়েছে।

Published by
News Desk

মিশর মানেই তো পিরামিড, নেক্রোপলিস। যা এখনও রহস্যে ভরা। নীলনদের ধারে এমন অনেক নেক্রোপলিস রয়েছে যার খোঁজ পাচ্ছেন প্রত্নতাত্ত্বিক, গবেষকেরা।

এঁরা এখানে খনন চালিয়েও অনেক নেক্রোপলিসের খোঁজ পাচ্ছেন। যার মধ্যে থাকে বিলাসবহুল ঘর। অনেক সম্পদ। আর থাকে যাঁকে উদ্দেশ্য করে ওই নেক্রোপলিস তৈরি করা হয়েছিল তাঁর মমি।

তেমনই এক মমির খোঁজ পেলেন গবেষকেরা। মধ্য নীলনদ বদ্বীপের ধারে পাওয়া এই কুয়েসনা নেক্রোপলিসটির বয়স প্রায় আড়াই হাজার বছর।

সেই নেক্রোপলিসের মধ্যে থেকে যে মমিটি উদ্ধার হয়েছে তেমন একাধিক মমি ওই এলাকায় পাওয়া গিয়েছে। যাদের জিভের অংশ নজরকাড়া।

গবেষকেরা কিছুটা অবাক এটা দেখে যে মমিগুলির জিভ সোনার তৈরি। সোনা সহ নানা রত্নের ভাণ্ডার মমির সঙ্গেই তার চারপাশে রাখা থাকত। এটা অনেকের জানা। কিন্তু সোনার জিভ কিছুটা অন্যরকম ঠেকেছে গবেষকদের। এই মমিগুলি কোনওটা পুরুষের, কোনটা মহিলার। এমনকি কোনওটা শিশুর।

কেন কয়েকটি মমির জিভ সোনার হল তা অবশ্য এখনও অজানা। তবে প্রাচীন মিশরে সোনার খুব কদর ছিল। তখনকার মানুষ বিশ্বাস করতেন যে সোনা হল আসলে রা-এর গায়ের চামড়া। রা হলেন সূর্য দেবতা।

মমির সোনার জিভ ও অন্য প্রত্নসামগ্রি, ছবি – সৌজন্যে – ফেসবুক – @tourismandantiq

সূর্য দেবতা রা-কে মিশরের মানুষ শ্রদ্ধা করতেন। তাঁর ত্বকই হল সোনা বলে মনে করতেন তাঁরা। তাই সেই বিশ্বাস থেকেও কয়েকটি মমির জিভ সোনার হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে তা অনুমান মাত্র। এমন কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি যা এই তত্ত্বকেই সঠিক বলে প্রমাণ করবে।

Share
Published by
News Desk
Tags: Egypt

Recent Posts