Sports

ডার্বির রং সবুজ মেরুন, লাল হলুদের দুর্ভাগ্যজনক পরাজয়

৭ মাস পর ডার্বিতে মুখোমুখি হয়ে ইস্টবেঙ্গলকে হার স্বীকার করতে হল মোহনবাগানের কাছে। তবে এদিনের হারের জন্য মোহনবাগানের খেলা নয়, ইস্টবেঙ্গলের ভুলই দায়ী।

Published by
News Desk

ফের ডার্বি সবুজ মেরুন। মোহনবাগান বনাম ইস্টবেঙ্গলের সেই চিরন্তন লড়াই দেখতে রবিবার ভারত পাকিস্তান লড়াই ফেলে বঙ্গ জনতা ছুটেছিলেন যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে। আর যাঁরা মাঠে যেতে পারেননি তাঁরা চোখ রেখেছিলেন টিভির পর্দায়।

ঠাসা গ্যালারিতে যুবভারতীর সবুজ গালিচায় এদিন কিন্তু ২টি দলকেই ছন্দে পাওয়া যায়নি। মোহনবাগান আক্রমণ অনেক বেশি তৈরি করলেও তা গোলে রূপান্তরিত করার ধারেকাছেও পৌঁছতে পারছিল না। ফিনিশারের অভাবটা বড় করে এদিন দেখা দিল।

অন্যদিকে ইস্টবেঙ্গলকে কিছুটা গুটিয়েই খেলতে দেখা যায়। এভাবেই কিছুটা ছন্নছাড়া এলোমেলো পাসের খেলা প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমে যখন পৌঁছয় তখন একটা কর্নার পায় মোহনবাগান।

কর্নার করতে আসেন লিস্টন কোলাসো। কোলাসোর নিখুঁত কর্নার ইস্টবেঙ্গল গোলের সামনের জটলায় ঠিকঠাক পৌঁছে গেলেও সেখানে তা রিসিভ করে বা সেই বলে পা ঠেকানোর মত মোহন খেলোয়াড় ছিলেন না। বরং বল গিয়ে লাগে ইস্টবেঙ্গলের গোলের মুখে দাঁড়িয়ে থাকা সুমিত পাসির গায়ে।

বলটা সেভ করতে ঠিকঠাক পারেননি পাসি। ফলে বল ক্লিয়ার হওয়ার জায়গায় তাঁর শরীরে লেগে ঢুকে যায় ইস্টবেঙ্গলের জালে। আত্মঘাতী গোল করে বসেন পাসি। মোহনবাগান এগিয়ে যায় ১-০ ব্যবধানে।

দ্বিতীয়ার্ধেও কিন্তু নজর কাড়ার মত কোনও আক্রমণ তৈরি করতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। এদিনও খেলায় নজর কাড়েন পরে নামা কিয়ান নাসিরি। মোহনবাগানের এই তরুণ রত্ন যেকোনও সময়ে খেলার মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা যে ধরেন তা তিনি একাধিকবার প্রমাণ করেছেন।

কলকাতার মাঠের জামশেদ নাসিরির সুযোগ্য সন্তান কিয়ান এদিনও একাধিক সুযোগ পান। তবে তা গোলে রূপান্তরিত করতে পারেননি। ইস্টবেঙ্গল এদিন কিন্তু কয়েকটি সহজ সুযোগ নষ্ট করে। যা গোল হতেই পারত।

Share
Published by
News Desk