SciTech

পৃথিবীর ফুসফুস কাকে বলা হয়, অনেকে যা জানেন তা কিন্তু ভুল

অনেকের ধারনা আছে পৃথিবীর ফুসফুস হল অ্যামাজনের গহন অরণ্য। কারণ এই জঙ্গল বিশ্বকে ২০ শতাংশ অক্সিজেন দেয়। পৃথিবীর ফুসফুস কিন্তু একেবারেই আলাদা।

Published by
News Desk

অ্যামাজন রেন ফরেস্ট। যার সবুজ বনানীর কূলকিনারা পাওয়া যায়না। কত যে গাছ আছে তার সংখ্যা অনুমান করাও দুঃসাধ্য। এত গাছ যখন তখন তো অঢেল অক্সিজেনও পাওয়া যাবে।

তাই অনেকেই মনে করেন অ্যামাজন অরণ্য হল বিশ্বের ফুসফুস। কারণ এই অরণ্য বিশ্বের ২০ শতাংশ অক্সিজেনের যোগান দিচ্ছে। এ তথ্য সঠিকও।

কিন্তু আরও একটি দিক রয়েছে এই অরণ্যের। এই বিপুল সবুজ প্রচুর পরিমাণে কার্বন ডাই অক্সাইডও দিয়ে চলেছে বিশ্বকে।

ফলে যত অক্সিজেন এই অরণ্য বিশ্বকে দেয়, প্রায় সমপরিমাণ কার্বন ডাই অক্সাইডও ছাড়ে বাতাসে। ফলে কোথাও গিয়ে অক্সিজেন ও কার্বন ডাই অক্সাইড প্রদানের পরিমাণ মিলে যাচ্ছে।

অ্যামাজন রেন ফরেস্ট তাই বিশ্বের ফুসফুস নয়। তাহলে বিশ্বের ফুসফুস কি? কোথা থেকে আসছে এত অক্সিজেন? বিশ্বের ফুসফুস কিন্তু লুকিয়ে আছে জলের তলায়।

বিশ্বজুড়ে প্রাণিজগৎ যে অক্সিজেনের ভরসায় বেঁচে রয়েছে তার নিরলস যোগান দিয়ে চলেছে সমুদ্রের নিচের গাছপালা। মহাসাগর, সাগর মিলিয়ে যে বিপুল জলরাশি এবং সেই জলরাশির তলদেশে যে বিপুল পরিমাণ গাছগাছালি রয়েছে তারা বিপুল পরিমাণে অক্সিজেন নির্গত করছে।

সেই অক্সিজেনই বিশ্বকে অক্সিজেনের যোগান দিয়ে বাঁচিয়ে রেখেছে। তাই বিশ্বের ফুসফুস হল সমুদ্রের তলার গাছ। সেই অগুন্তি গাছের ভিড়ই বাঁচাচ্ছে প্রাণিজগতকে। এ গাছদের দেখা যায়না ঠিকই, তবে বিশ্ববাসী এই সমুদ্রের তলার উদ্ভিদ জগতের কাছে অবশ্যই ঋণী।

Share
Published by
News Desk
Tags: EarthWeather