ষষ্ঠ মহাসাগর পেতে চলেছে পৃথিবী, ৫৬ কিলোমিটারের ফাটলে সে ইঙ্গিত স্পষ্ট
পৃথিবীতে এখন ৫টি মহাসাগর রয়েছে। আগামী দিনে তা বদলে যেতে চলেছে বলেই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। ৫৬ কিলোমিটারের একটি ফাটল বলে দিচ্ছে কোথায় হবে নতুন মহাসাগর।

পৃথিবীর ভূগোল চিরদিন এক ছিলনা। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা বদলেছে। তবে সে বদল ১ বছর, ২ বছরে হয়নি, লক্ষ লক্ষ বছরে হয়েছে। আর তা হয়েছে টেকটনিক প্লেটের নড়াচড়ায়। এবারও সেটাই হচ্ছে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।
আর তার জেরেই ভেঙে ২ টুকরো হয়ে যেতে চলেছে একটি মহাদেশ। সেখানে ২টি মহাদেশ জন্ম নেবে। মাঝখান দিয়ে বইবে নতুন তৈরি হওয়া মহাসাগর।
যা পৃথিবীর মানচিত্রটাই বদলে দেবে। তৈরি হবে নতুন মানচিত্র। সেই সঙ্গে নতুন মহাসাগর জন্ম নিলে বদলে যাবে বাস্তুতন্ত্র, আবহাওয়া এবং ভূগোল।
আফ্রিকা মহাদেশের নিচে থাকা সোমালি প্লেট ক্রমশ ছেড়ে যাচ্ছে নুবিয়ান প্লেট থেকে। এই সরে যাওয়ার গতি অবশ্য নগণ্য। ১ বছরে মাত্র কয়েক মিলিমিটার সরছে সেটি। কিন্তু এভাবেই একসময় সেটি ভেঙে দেবে আফ্রিকা মহাদেশকে। যার ইঙ্গিত ইতিমধ্যেই স্পষ্ট বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।
২০০৫ সালে ইথিওপিয়ায় একটি ৫৬ কিলোমিটার ফাটল তৈরি হয়। যা দেখার পর বিজ্ঞানীদের কাছে আরও পরিস্কার যে আফ্রিকা ২ ভাগে ভেঙে যাবে। মাঝে বইবে জল।
লোহিত সাগর ও এডেন উপসাগর মিলে ফাটলে তৈরি করবে নতুন মহাসমুদ্রের। সেটাই হবে পৃথিবীর ষষ্ঠ মহাসাগর। ১০ থেকে ৫০ লক্ষ বছরের মধ্যেই এই ষষ্ঠ মহাসাগর তৈরি হয়ে যাবে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।
আফ্রিকা এভাবে ২ ভাগ হওয়াটা হবে আগে যেমন করে আফ্রিকা ও দক্ষিণ আমেরিকা আলাদা হয়েছিল, ঠিক সেইভাবে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।