ডাস্টবিন, প্রতীকী ছবি
খাবার নষ্ট হওয়া একটা বড় সমস্যা হয়ে উঠছে। সবচেয়ে বেশি খাবার নষ্ট হয় বিভিন্ন রেস্তোরাঁয়। কারণ তারা বুঝে উঠতে পারেনা সেদিন কোন খাবারের কতটা চাহিদা তৈরি হবে। তারা ক্রেতাদের কথা মাথায় রেখে তা তৈরি রাখে। কিন্তু সেই ক্রেতা না হলে খাবার নষ্ট হয়। এই সমস্যা যতটা বড় বড় রেস্তোরাঁর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, ততটাই ছোট রেস্তোরাঁর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।
কিন্তু হোটেল, রেস্তোরাঁগুলির হাতে এমন কোনও পদ্ধতি নেই যে তারা তা কাজে লাগিয়ে এই খাবার নষ্ট হওয়া বন্ধ করতে পারে। তাহলে উপায়! উপায় রয়েছে বলেই মনে করছে একটি রিপোর্ট।
গ্লোবালডেটা সংস্থার প্রধান কনজিউমার অ্যানালিস্ট পার্থসারথি রেড্ডি বোক্কালা এই সমস্যা সমাধানে ২টি পথ বাতলেছেন। যেখানে এই খাবার নষ্ট বন্ধে প্রযুক্তি একটা বড় ভূমিকা পালন করবে।
তিনি একটি রাস্তা দেখিয়েছেন যেটা হল, যদি রেস্তোরাঁগুলি প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে কবে কতটা খাবার তৈরি রাখতে হবে বিক্রির জন্য সেটা বুঝতে পারে, তাহলে খাবার নষ্ট অনেকটাই কমবে।
সেক্ষেত্রে ক্রেতার চাহিদার ধরন বুঝতে হবে। খাবার বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার সংস্থা জোমাটো সম্প্রতি ফুড রেস্কিউ নামে একটি উদ্যোগ নিয়েছে। যাতে রেস্তোরাঁর খাবার নষ্ট অনেকটাই কমবে। যেটা পুরোটাই প্রযুক্তি নির্ভর।
দ্বিতীয় একটি উপায় হল যদি এমন করা যায় যে জোমাটো বা সুইগির মত সংস্থাগুলিতে কেউ চাইলে অনেক আগেই অর্ডার দিয়ে রাখতে পারবেন। কিন্তু তিনি যে সময় তা বাড়িতে আসুক চাইবেন সে সময়ই তা পৌঁছবে।
আগে থেকেই অর্ডার জেনে যাওয়ায় রেস্তোরাঁগুলি অনেক আগে থেকেই কতটা রাঁধতে হবে তার পরিকল্পনা করে ফেলতে পারবে। এই ২ পদ্ধতির হাত ধরে প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে রেস্তোরাঁগুলির পক্ষে বোঝা অনেকটা সহজ হবে যে সেদিন তাদের কতটা খাবারের আয়োজন রাখতে হবে।
সেক্ষেত্রে খাবার নষ্ট হওয়া অনেকটাই কমবে। বিশ্বজুড়ে যেখানে লক্ষ লক্ষ মানুষ এখনও না খেয়ে বা আধপেটা খেয়ে রাতে ঘুমোতে যান। যেখানে শিশুরা অনাহারের কষ্ট সহ্য করছে প্রতিদিন। যে বিশ্বে পুষ্টিকর খাবার একটা বড় চাহিদা। সেখানে খাবার নষ্ট কখনওই গ্রহণযোগ্য হতে পারেনা। তাই তা রোখার যথার্থ বন্দোবস্ত থাকা উচিত বলেই মনে করছেন সকলে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা