এই বিজয়াদশমীতে লক্ষ মানুষের ঢল সামলাতে ৩৫০০ পুলিশ, ড্রোন, ২৫০ একর পার্কিং
এক বিজয়াদশমী পালনকে সামাল দিতে কার্যত রাতের ঘুম উড়েছে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের। থাকছেন ৩৫০০ পুলিশকর্মী। থাকছে অনেক ড্রোন, বিশাল পার্কিং লট, এআই চ্যাটবট।

বাংলায় দুর্গাপুজোর সমাপ্তি মানেই বিজয়াদশমী। সিঁদুর খেলা, কোলাকুলি, মিষ্টিমুখ। মাকে বিদায় জানানোর পালা। এদিন ভারত জুড়ে পালিত হয় দশেরা। বিজয়াদশমীর দিন ভারত জুড়ে রাবণ দহন অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু সর্বত্র যে তা হয় তা নয়।
সেখানকার পরম্পরা মেনেই পালিত হয় বিজয়াদশমী। তামিলনাড়ুর কুলশেখরপত্তিনম-এর মুথারমন মন্দিরের বিখ্যাত সুরসমাহরম উৎসব এমনই এক বিজয়াদশমী পালন যেখানে প্রতিবছর উপচে পড়ে ভিড়।
বিজয়ার দিন দূর দূরান্ত থেকে মানুষ হাজির হন এই মন্দিরে। লক্ষ লক্ষ মানুষের ভিড় হয়। বিজয়ার উৎসব পালনকে কেন্দ্র করে একটি জায়গায় এত মানুষের সমাগম ভারত জুড়ে প্রায় হয়না বললেই চলে। যা সামাল দিতে হিমসিম খেতে হয় পুলিশ প্রশাসনকে।
পুলিশ প্রশাসন যে এই ভিড় সামাল দিতে কতটা মরিয়া তা এবারের চমকে দেওয়া ব্যবস্থা দেখলেই পরিস্কার। প্রতিবছর ২০০ একর জমি খালি রাখা থাকে কেবল গাড়ি পার্কিংয়ের সুবিধা দেওয়ার জন্য। এবার তাতেও কুলোচ্ছে না দেখে প্রশাসন আরও ৫০ একর খালি জমি পার্কিংয়ের জন্য যুক্ত করেছে। ৩টি অস্থায়ী বাসস্ট্যান্ড তৈরি করা হয়েছে।
কত গাড়ি ঢুকল তা জানার জন্য বিশেষ পদ্ধতিতে ক্যামেরার মাধ্যমে চলে গোনার কাজ। উৎসব প্রাঙ্গণে গতবছরের তুলনায় দ্বিগুণ করা হয়েছে সিসিটিভি-র সংখ্যা। এছাড়া ২টি ড্রোন উড়বে আকাশপথে নজরদারির জন্য।
কারুর-এ পদপিষ্টের ঘটনার পর আর কোনও ঝুঁকি নিতে নারাজ প্রশাসন। এই বিশাল ভিড়কে সামাল দিতে সবদিক থেকে নিজেদের তৈরি রাখছে তারা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা