National

রাবণের গায়ে আগুন দিতেই পাল্টা ছুটে এল আগুনের গোলা, তেড়ে এল ষাঁড়

রাবণের পাল্টা হানায় দিশেহারা হয়ে পড়লেন শয়ে শয়ে মানুষ। রাবণ ক্রুদ্ধ হলে কি হতে পারে তা দেখলেন তাঁরা। পরিস্থিতি দেখে হতভম্ব পুলিশও।

Published by
News Desk

বিজয়াদশমীতে মা দুর্গার মর্ত্যবাসীর মনখারাপ করে কৈলাসে ফেরার পালা। বিসর্জনের বিষাদ সুরে মাকে যখন বিদায় জানানো হয়, তখন ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে পালিত হয় দশেরা। রাবণ বধের পালা।

সেখানে অতিকায় রাবণের কুশপুতুল বানিয়ে তাতে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এভাবেই প্রতীকী বারণ বধ হয়। যা দেখার জন্য হাজার হাজার মানুষ ভিড় জমান।

বিভিন্ন রাজ্যেই এই রাবণ দহন উদযাপিত হয়। তেমনই একটি রাবণ দহন চলছিল উত্তরপ্রদেশের মুজফ্ফরনগরে। বহু মানুষ ভিড় করেছিলেন সেই রাবণ দহন দেখতে। বিশাল মাঠের মধ্যেই রাবণ দহন করা হচ্ছিল। ছিল পুলিশি বন্দোবস্তও।

সেখানে রাবণের অতিকায় কুশপুতুলে অগ্নিসংযোগ করতেই তা দাউদাউ করে জ্বলে ওঠে। ছোট শিশু থেকে বৃদ্ধ, মহিলা থেকে পুরুষ, সকলেই চেয়ে থাকেন সেদিকে।

আর ঠিক তখনই দেখা যায় জ্বলতে থাকা রাবণের দিকে থেকে ছিটকে আসছে একের পর এক আগুনের গোলা। যেন রাবণ পাল্টা প্রতিশোধ নিচ্ছেন।

আগুনের গোলা তিরের গতিতে এসে আছড়ে পড়তে থাকে ভিড়ের মধ্যে। শুরু হয়ে যায় ছুটোছুটি। সুরক্ষার দায়িত্বে থাকা পুলিশকর্মীরাও নিজেদের ওই আগুনের গোলা থেকে সামলে দর্শকদের শান্ত করার চেষ্টা করেন।

কিন্তু এভাবে ছিটকে আসা আগুনের গোলা আসতেই থাকে দর্শকদের তাক করে। রাবণের এই পাল্টা হানায় মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।

আগুনের গোলা ছিটকে আসা বন্ধ হলে ফের মানুষ যখন নিজের নিজের জায়গায় ফিরছেন তখন আর এক নতুন বিপত্তি। এবার ভিড়ের মধ্যে গুঁতোনোর জন্য তেড়ে আসে একটি ষাঁড়।

ফের দিশেহারা হয়ে এদিক ওদিক ছুটতে থাকেন মানুষ। যদিও ষাঁড়টিকে দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনেন পুলিশকর্মীরা। এতকিছু হলেও কেউ বড় ধরনের কোনও আঘাত পাননি।

Share
Published by
News Desk