দুর্যোধনের মন্দির, ছবি – সৌজন্যে – ফেসবুক – @PoruvazhyPeruviruthyMalanadaTemple
মহাভারতে দুর্যোধন এমন এক চরিত্র যাঁকে কেউই পছন্দ করেননা। মহাভারতের মুখ্য খলনায়ক হলেন তিনি। সেই দুর্যোধনের নামে কিন্তু এই ভারতেই রয়েছে একটি মন্দির।
মালান্দা দুর্যোধন মন্দিরটি সাজানো হলেও সেখানে কোনও গর্ভগৃহ নেই। নেই কোনও বিগ্রহ। আছে একটি বিশাল চাতাল। সেখানেই ভক্তরা গিয়ে ধ্যান করতে পারেন।
তবে মন্দিরের এক পুরোহিত আছেন। যিনি একটি বিশেষ জনজাতির মানুষ হন। কিন্তু দুর্যোধনের মত একজনের নামে মন্দির কীভাবে তৈরি হতে পারে? এর পিছনে রয়েছে এক কথিত কাহিনি।
কেরালার কোল্লাম-এ পৌঁছতে পারলে এই মন্দির দেখা যায়। কথিত আছে পাণ্ডবরা যখন অজ্ঞাতবাসে ছিলেন, তখন তাঁদের খুঁজতে দুর্যোধন বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছন। সেভাবেই তিনি কেরালার এই স্থানে এসে পৌঁছন।
তখন দুর্যোধন প্রবল তৃষ্ণার্ত। সেইসময় তাঁর তৃষ্ণা মেটান কুরুভা জনজাতির এক মহিলা। তিনি দুর্যোধনকে জল পান করান। দুর্যোধন কোনও জাতিভেদ, বর্ণভেদ মানতেন না। তাই তথাকথিত নিম্ন জাতি হিসাবে পরিচিত কুরুভাদের আতিথেয়তা তিনি গ্রহণ করেন।
কুরুভা মানুষজন দুর্যোধনের থাকার ও খাওয়ার বন্দোবস্ত করেন। এই আতিথেয়তায় খুশি হয়ে দুর্যোধন তাঁদের একটি জমি দান করেছিলেন। সেই জমিতেই তৈরি হয়েছে এই মন্দির বলে কথিত।
এখনও এই দুর্যোধন মন্দির দেখতে বহু মানুষ এখানে হাজির হন। বিগ্রহ নেই ঠিকই, কিন্তু মন্দির দর্শনটা তো হয়। মন্দিরে ধ্যান করার চাতালেও গিয়ে কিছুটা সময় কাটান অনেকে।