Durga Pujo

৫০০ বছরের পুরনো পুজো, দেশের একমাত্র দুর্গাপুজো যার খরচ বহন করে সরকার

এ দুর্গাপুজোর বয়স ৫০০ বছর। ঐতিহাসিক এই পুজোর যাবতীয় খরচ বহন করে রাজ্যসরকার। যা দেশে একমাত্র এই পুজোর ক্ষেত্রেই হয়।

Published by
News Desk

৫০০ বছর আগে শুরু হয়েছিল এ পুজো। তখন সিংহাসনে থাকা রাজার হাত ধরেই শুরু হয় দুর্গাপুজো। এরপর বিভিন্ন সময়ে রাজত্ব বদলেছে। ইংরেজ শাসন এসেছে। তারসঙ্গে বদলেছে এই দুর্গাপুজোর মন্দির।

উদয়পুর, অমরপুর, পুরানি হাভেলি, এই ৩ জায়গায় মন্দির স্থানান্তরিত হয়। এরপর আগরতলায় শেষপর্যন্ত মন্দিরটি স্থাপিত হয়। যা এখনও বর্তমান।

১৮৪ বছর আগে ত্রিপুরার মহারাজ কৃষ্ণ কিশোর মাণিক্য ১৮৩৮ সালে আগরতলায় দুর্গাবাড়ি মন্দিরটি নির্মাণ করেন। গত ৭০ বছর ধরে ত্রিপুরার সরকার এই মন্দিরে দুর্গাপুজোর দায়িত্ব বহন করছে। ভারতের একমাত্র এই মন্দিরেই সরকার দুর্গাপুজোর যাবতীয় খরচ বহন করে।

দুর্গাবাড়ি মন্দিরের ৫০০ বছরের পুরনো পুজোয় এবারও ত্রিপুরা সরকার ৫ লক্ষ টাকা দিয়েছে। সেই টাকায় পুজোও হচ্ছে ধুমধাম করে। প্রচুর ভক্ত সমাগম হয় দুর্গাপুজোর ৫ দিনে। উপচে পড়ে ভিড়।

মন্দিরের পুরোহিতও বংশপরম্পরায় পুজো করে আসছেন। উজ্জয়ান্ত প্রাসাদের সামনে অবস্থিত এই মন্দিরে বর্তমানে যিনি পুরোহিত রয়েছেন সেই জয়ন্ত ভট্টাচার্যের এখন বয়স ৫৭ বছর।

জয়ন্তবাবু জানান, তিনি ষষ্ঠ প্রজন্ম। তাঁর বংশের ৬ পূর্ব পুরুষ এই মন্দিরে পুজোর দায়িত্ব সামলেছে। তিনি এই মন্দিরে পুজো করার জন্য সরকারের কাছ থেকে প্রতি মাসে সাড়ে ৮ হাজার টাকা করে ভাতাও পান।

এই মন্দিরের দুর্গাপুজোর পর প্রতিমা নিরঞ্জন হয় দশমীর দিন। দশমীর দিন দশমীঘাটে প্রতিমা নিরঞ্জনের আগে চোখ ধাঁধানো শোভাযাত্রা করে প্রতিমাকে নিয়ে আসা হয়।

এই শতাব্দী প্রাচীন মন্দিরে গত ৩ বছর বন্ধ থাকার পর ফের এ বছর পশুবলি হচ্ছে। যদিও তা পশুপ্রেমী সংগঠনগুলির ঘোর প্রতিবাদের মুখে পড়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Share
Published by
News Desk
Tags: Durga Puja