Kolkata

আর গঙ্গায় ভাসান নয়, এবার শুরু অন্য ব্যবস্থা

গঙ্গায় ভাসানই চিরাচরিত রীতি। কিন্তু তার জেরে গঙ্গা দূষণের অভিযোগ ওঠে বারবার। তাই এবার অন্য ব্যবস্থার পথে পরীক্ষামূলকভাবে হাঁটল কলকাতা পুরসভা।

Published by
News Desk

দশমীর দিন সন্ধে থেকে কলকাতার গঙ্গার ঘাটগুলিতে লাইন পড়ে। বিকেলের মধ্যে বাড়ির ঠাকুর বিসর্জন শেষ হয়। তারপর শুরু হয় বারোয়ারি ঠাকুর বিসর্জন।

কাছিতে বেঁধে বাঁশ দিয়ে তুলে ঠাকুর গঙ্গার জলে পড়ে। বারোয়ারির সকলে চিৎকার করে ওঠেন, বলো দুর্গা মাঈ কি জয়। আসছে বছর আবার হবে। মনে মনে সকলের একটাই কামনা আবার এসো মা।

অনেকেই গঙ্গার জলে ক্রমশ তলিয়ে যেতে থাকা মা দুর্গার মূর্তির দিকে তাকিয়ে থাকেন সজল চোখে। এটাই পরম্পরা। এটাই চিরাচরিত রীতি। কিন্তু এবার তাতে বদল হতে চলেছে। তার প্রথম পদক্ষেপ শুরু হচ্ছে দই ঘাটে।

সেখানে গঙ্গার পাশে তৈরি করা হয়েছে একটি কৃত্রিম পুকুরের মত। সেখানেই একের পর এক প্রতিমা এনে রাখা হবে। আর গঙ্গা থেকে হোসপাইপের সাহায্যে জলে ভেজানো হবে সেই প্রতিমা।

তাতে প্রতিমার গায়ে থাকা নানা রং, মাটি সহ অন্যান্য পদার্থ সব জলে ধুয়ে যাবে। সরাসরি তা গঙ্গায় মিশবে না। এতে গঙ্গা দূষণ রোধ করা সম্ভব হবে।

কলকাতা পুরসভার এই উদ্যোগ এদিন খতিয়ে দেখেন ফিরহাদ হাকিম। আপাতত এটি পরীক্ষামূলক বন্দোবস্ত। যদি এবার এই ব্যবস্থা সফল হয় ও সর্বজন গ্রাহ্য হয় তাহলে আগামী বছর থেকে সর্বত্র এই ব্যবস্থা চালুর কথাও ভাবনায় রয়েছে পুরসভার।

এদিকে এদিন কলকাতার সব ঘাটগুলিতে সবরকম বন্দোবস্ত হয়ে গিয়েছে। এবার করোনার কারণে কোনও প্রতিমা নিয়ে বিসর্জনের শোভাযাত্রা করতে পারবে না বারোয়ারিগুলি। গঙ্গার ঘাটে সরাসরি পৌঁছনোর পর প্রতিমা নিরঞ্জনের সময় ঘাটের কাছে যেতে পারবেন বারোয়ারির মাত্র ৩ জন সদস্য।

Share
Published by
News Desk