Kolkata

মহাষ্টমীতেও বৃষ্টির চোখরাঙানি উপেক্ষা করে বিকেল থেকেই রাজপথে মানুষের ঢল

Published by
News Desk

পুজোর অন্য দিনগুলোতে যেমন সকাল থেকেই ঠাকুর দেখার একটা উৎসাহ থাকে। পুজোর যেমন হচ্ছে হয়। তারসঙ্গে সকলের তেমন যোগ থাকেনা। বরং উৎসবের মেজাজের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে নিজেকে জড়িয়ে রাখতেই বেশি পছন্দ করেন মানুষ। অষ্টমীর দিনটা তেমন নয়। তাই মহাষ্টমীর সকাল থেকে প্যান্ডেল হপিং কম হয়। তারচেয়ে বরং পাড়ার বা বাড়ির পুজোয় সকলের যোগদান অনেক বেশি থাকে। এবার তো আবার সকালে অষ্টমী পুজোর পর অঞ্জলি হয়। আর তা মিটতে না মিটতেই সন্ধিপুজোর তোড়জোড় শুরু হয়ে যায়। ফলে ঝলমলে আকাশ থাকলেও সকালে প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে ঠাকুর দেখার ভিড় তেমন নজর কাড়েনি। পুজোতেই ব্যস্ত ছিলেন সকলে। কিন্তু বিকেল গড়াতেই চেহারাটা বদলে যায়।

আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসকে সত্যি করে রবিবার আকাশ কালো করে বৃষ্টি নামার উপক্রম হয়। বেশ কিছু জায়গায় বৃষ্টি নামে। কিন্তু তা মানুষের উৎসাহ কেড়ে নিতে পারেনি। মানুষ ছাতা হাতেই বেরিয়ে পড়েন প্যান্ডেল হপিংয়ে। সকালের পুজো সেরে অনেক পরিবারেই এদিন নিরামিষ খাওয়ার রীতি রয়েছে। মেনুও প্রায় মিলে যায়। লুচি, নারকেল দিয়ে ছোলার ডাল, ফুলকপির কালিয়া বা ডালনা, চাটনি, মিষ্টি। অনেক জায়গায় আবার অন্নভোগ খাওয়া হয়। সঙ্গে বিভিন্ন ভাজা, পাঁচমিশেলি তরকারি, মিষ্টি। সকলে মিলে মহাষ্টমীর ভোগ খাওয়া এদিন যেন আনন্দে অন্য মাত্রা এনে দেয়।

পুজো, পুষ্পাঞ্জলি, সন্ধিপুজো, খাওয়া দাওয়া সেরে তারপর কিন্তু আর সময় নষ্ট করেননি কেউ। অষ্টমীর সাজটা সাজতে যেটুকু সময়। তারপরই পরিবার, বন্ধু, আত্মীয়দের সঙ্গে বেরিয়ে পড়েছেন সকলে। শহরের এই প্যান্ডেল থেকে ওই প্যান্ডেল। মহাষ্টমীর সন্ধেয় শুধুই চুটিয়ে ঠাকুর দেখা। এই তো কটা দিন। তারপর ফিরতে হবে দৈনন্দিন জীবনের চক্রে। তার আগে এই দিনগুলোয় সময় নষ্ট করা নয়। প্রতিটি মুহুর্ত চেটেপুটে উপভোগ করার দিন। আর তাতে খামতি রাখল না বঙ্গবাসী।

Share
Published by
News Desk