দুধওয়া জাতীয় উদ্যানে বাঘ, ছবি - সৌজন্যে - উইকিমিডিয়া কমনস
বাঘদের সঙ্গে মোলাকাত করতে এবার বাঘের ডেরাতেই ঢুকে পড়তে চলেছে একটি আস্ত ট্রেন। হতে পারে এই ট্রেনের জানালা সাধারণ ট্রেনের চেয়ে অনেক বড়, দেখতেও একটু অন্যরকম। গায়ে আঁকা জঙ্গলের পরিবেশ। তবে ট্রেন তো ট্রেনই হয়।
আর তা যে কখনও বাঘের ডেরায় ঢুকে বাঘদের সঙ্গে মোলাকাতের বন্দোবস্তের ব্যবস্থা করে দেবে তা বোধহয় সেভাবে কল্পনার মধ্যে ছিলনা ফেরারি মনের মানুষজনের।
কথায় বলে বাঙালির পায়ের তলায় সর্ষে। একটু ছুটিছাটা পেলেই বহু বাঙালি বেরিয়ে পড়ে শহর ছেড়ে অন্য কোথাও, অন্য কোনওখানে।
যার মধ্যে একটি গন্তব্য অবশ্যই উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরি-র দুধওয়া টাইগার রিজার্ভ। এই জাতীয় উদ্যান বাঘদের নিশ্চিন্ত আশ্রয় তো বটেই, একটি ঘন জঙ্গলে ঘেরা পর্যটনস্থলও।
সেই পর্যটনস্থলকে পর্যটকদের কাছে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে নয়া উদ্যোগ সামনে এল। অনেকেই টাইগার রিজার্ভে বেড়াতে গিয়ে মন খারাপ করে বাড়ি ফেরেন। অভিযোগ জঙ্গলে ঘুরেও বাঘের দেখা মিলল না।
কারও ভাগ্যে জোটে বাঘের পায়ের ছাপ। আর আস্ত বাঘ দেখতে পান কেউ কেউ। এবার এক হেরিটেজ ট্রেন এই দুধওয়ার জঙ্গলের বুক চিরে ঢুকে পড়তে চলেছে একেবারে বাঘদের কোর এরিয়ায়। যেখানে বাঘের দেখা মেলার, তাদের হালচাল দেখার সুযোগ অনেক বেশি থেকে যায়।
৬ কামরার ট্রেনে থাকবেন পর্যটকরা। অবশ্যই বাঘদের শান্তি বিঘ্নিত না করেই এই পর্যটন চালু হতে চলেছে। ১০০ কিলোমিটার পথ ঘুরবে এই হেরিটেজ ট্রেন। তাও আবার জঙ্গলের কোর এরিয়ায়। যা অবশ্যই পর্যটকদের জন্য দারুণ সুখবর বয়ে এনেছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা