ফাইল : ডোনাল্ড ট্রাম্প, ছবি - আইএএনএস
অভ্যুত্থানের ষড়যন্ত্র, গণতান্ত্রিক শাসনের সহিংস বিলুপ্তির প্রচেষ্টা, সশস্ত্র অপরাধমূলক সংগঠনে অংশগ্রহণ, সম্পত্তি ক্ষতির পরিমাণ বৃদ্ধি এবং তালিকাভুক্ত ঐতিহ্যবাহী স্থান ধ্বংস করা, এতগুলি অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
আদালত এর প্রতিটিতেই তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করেছে। দেশের সুপ্রিম ফেডারেল কোর্ট তাঁকে সাজাও শুনিয়েছে। এতগুলি অপরাধের জন্য তাঁকে ২৭ বছর ৩ মাস কারাবাসের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
আদালতের ৫ জন বিচারপতির মধ্যে ভোটাভুটি হয়। তাতে ৪ জন বিচারপতিই ব্রাজিলের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জাইর বোলসোনারো-র বিরুদ্ধে রায় দেন। অ্যামাজন অরণ্য আর ফুটবলের দেশ ব্রাজিলের প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের এই কারাদণ্ডের খবর ব্রাজিলের সীমানা ছাড়িয়ে গোটা বিশ্বে আলোড়ন ফেলেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট তো মানতেই পারছেন না এই সাজা।
ডোনাল্ড ট্রাম্প সরাসরি বোলসোনারো-র কারাবাসের সাজার বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন। ট্রাম্প জানিয়েছেন তিনি বোলসোনারোকে চেনেন। তিনি যখন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট ছিলেন তখন থেকেই তাঁকে চেনেন ট্রাম্প।
দরাজ সার্টিফিকেট দিয়ে ট্রাম্পের দাবি বোলসোনারো ভাল মানুষ। এমন কাজ তিনি করতে পারেননা বলেই মনে করেন ট্রাম্প। এমনকি বোলসোনারোর বিরুদ্ধে এই সাজা ঘোষণা কিছুটা একতরফা হয়েছে বলেও মনে করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
তিনি এই সাজা শুনে একাধারে অবাক এবং অখুশি। সাজা ঘোষণার আগে বোলসোনারো গৃহবন্দি অবস্থায় কাটাচ্ছিলেন। তিনি এই মামলা চলাকালীন শেষের দিকে আদালতেও আসেননি।
সাজা ঘোষণার পর বোলসোনারোর দাবি, পুরোটাই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে প্রণোদিত। তিনি যাতে ২০২৬ সালে অনুষ্ঠিত হতে চলা ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ না নিতে পারেন সেজন্যই তাঁর সঙ্গে এটা করা হল। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা