হিরে, প্রতীকী ছবি
সে যিশুখ্রিস্টের জন্মেরও প্রায় ৪০০ বছর আগের কথা। তখন উত্তর ভারতের কোনও একটি জায়গায় মাটির তলা থেকে উঠে আসে এক অচেনা পাথর। যা আকরিক অবস্থায় উঠে আসে। তারপর তাকে ঘষামাজা করতেই বেরিয়ে আসে তার আসল দ্যুতি।
চোখ ঠিকরে দেওয়া সেই ঔজ্জ্বল্য বা জেল্লা দেখে সে সময়ের মানুষের বুঝতে অসুবিধা হয়নি যে ভারতই প্রথম বিশ্বকে এক অতি দামি পাথরের সঙ্গে পরিচয় করাতে চলেছে। ভারতের হাত ধরেই গোটা বিশ্ব এই পাথরের সঙ্গে পরিচিত হয়।
বিশ্ববাসীর ধারনা ছিল এ অমূল্য পাথর সবচেয় বেশি পাওয়া যায় ভারতেই। এই ধারনা অষ্টাদশ শতাব্দী পর্যন্তও স্থায়ী ছিল। তারপর অবশ্য আফ্রিকায় তার চেয়ে অনেকটাই বিপুল এই পাথরের ভাণ্ডারের খোঁজ মেলে মাটির তলায়।
সংস্কৃতে এই পাথরকে বলা হত বজ্র। বজ্র অর্থাৎ বাজ। আবার একে ইন্দ্রযুদ্ধ নামও ডাকা হত। আসলে এই পাথরটি হল হিরে। হিরে নামে গোটা বিশ্বের অন্যতম পছন্দের রত্নটি পৃথিবীকে চিনিয়েছে ভারত। তাও যিশুখ্রিস্টের জন্মের ৪০০ বছর আগে।
একসময় ভারতেই প্রথম হিরে উত্তোলন হয়। পৃথিবী আস্তে আস্তে ভারতের সঙ্গে সংযোগের ফলে জানতে পারে এই দামি রত্নের কথা। গত কয়েক বছর ধরে অবশ্য ভারতের মধ্যপ্রদেশের পান্না জেলার মাঝগাঁওয়া খনি থেকে কেবল হিরে উত্তোলন হচ্ছে।