ঘূর্ণিঝড় যশের প্রভাবে প্লাবিত এলাকায় উদ্ধারকাজে সেনা, ছবি - আইএএনএস
পশ্চিমবঙ্গে যশ মোকাবিলায় ও উদ্ধার কাজে ১৭ কোম্পানি সেনা আগে থেকেই তৈরি রাখা হয়েছিল। বুধবার যশ ওড়িশায় আছড়ে পড়ার পর তার প্রভাবে জলোচ্ছ্বাস ও ঝড়বৃষ্টি চলতে থাকে পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিস্তীর্ণ এলাকায়।
তা বেলার দিকে কিছুটা কমলে তারপরই সেনা নামে বিভিন্ন এলাকায়। দিঘায় শুরু হয় উদ্ধারকাজ। বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলেও সেনা হাজির হয়।
জলের তলায় চলে যাওয়া জায়গাগুলো থেকে দুর্গত মানুষকে বার করে ত্রাণ শিবিরে বা কোনও সুরক্ষিত জায়গায় পৌঁছে দেয় সেনা।
অনেকে বাড়ির জিনিসপত্র নিয়ে বেরিয়ে আসেন। তাঁদের সেসব সাংসারিক জিনিসও বয়ে দেন সেনা জওয়ানরা। সেনা উদ্ধারকাজে হাত লাগানোয় উদ্ধারকাজ গতি পায়।
এনডিআরএফ ও পুলিশও বিভিন্ন জায়গায় উদ্ধার কাজ চালায়। জলোচ্ছ্বাসের জেরে সবচেয়ে কঠিন পরিস্থিতির শিকার হতে হয়েছে ২ জেলার বহু গ্রাম ও শহরকে।
সমুদ্রের নোনা জল হুহু করে ঢুকে বহু এলাকা প্লাবিত করেছে। ভরা কোটালে ঘূর্ণিঝড় এক ভয়ংকর যুগলবন্দি তৈরি করে। যা আমজনতার মাথায় হাত ফেলে দিয়েছে। উদ্ধারকাজ চলছে। অনেক জায়গায় গাছ কাটার কাজও শুরু করেছে এনডিআরএফ।