Kolkata

রেহাই পেল কলকাতা, তবু টর্নেডো সতর্কতা

যশ-এর প্রভাব কলকাতায় সেভাবে পড়ল না। মেঘলা আকাশ আর মাঝে মধ্যে কয়েক পশলা বৃষ্টি বাদে তেমন একটা প্রভাব নেই। তবে এর মধ্যে জারি হয় টর্নেডো সতর্কতা।

গত মঙ্গলবার একটি টর্নেডোর মত ঘূর্ণিঝড় মাত্র ২-৩ মিনিটে তছনছ করে দিয়েছিল ব্যান্ডেলের বেশ কিছু এলাকা। আতঙ্ক ধরিয়ে দেওয়া তেমনই একটি টর্নেডো কলকাতাতেও আঘাত হানতে পারে বলে একটি সতর্কতা জারি হয় বুধবার।

মুখ্যমন্ত্রী নিজেই কলকাতার মানুষকে সকাল ১০টা থেকে ১২টার মধ্যে ঘর থেকে বার হতে মানা করেন। টর্নেডো হলে তা ২-৩ মিনিটই স্থায়ী হত।


যশ-এর প্রভাব কিন্তু কলকাতায় সেভাবে পড়েনি। যখন দিঘা, মন্দারমণি, শঙ্করপুর, হলদিয়া থেকে কাকদ্বীপ, নামখানা, গোসাবা, কুলতলি, ফ্রেজারগঞ্জ জলের তলায় তখন কলকাতায় কিন্তু সামান্য ঝোড়ো বা দমকা হাওয়া বয়েছে মাত্র।

এমনকি মাঝে ২-১ বার হাল্কা রোদের রেখাও নজরে পড়ে। অবশ্য মেঘলা আকাশই ছিল অধিকাংশ সময়। মাঝে মধ্যে ২-১ পশলা বৃষ্টিও হয়েছে।


বিভিন্ন নদীকে এদিন যেভাবে উত্তাল হতে দেখা গেছে তেমন একটা সম্ভাবনা গঙ্গার ক্ষেত্রেও মনে করা হচ্ছিল। সেজন্য সতর্কতাও নেওয়া হয়েছিল আগে থেকে।

সব স্টিমারকে নাইলনের মোটা দড়ি দিয়ে বাঁধা হয়েছিল জেটির সঙ্গে। তবে গঙ্গায় তেমন কিছু হয়নি। কেবল ভরা কোটাল থাকায় তার প্রভাবে জল স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়েছে। কিছু জেটি পর্যন্ত জল উঠে আসে।

এদিন কলকাতা বিমানবন্দরে যাবতীয় বিমান ওঠানামা ছিল সকাল থেকে বন্ধ। ১১ ঘণ্টার জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে বিমান পরিষেবা। রাস্তাও এদিন ঝড়ের কথা মাথায় রেখে ছিল অনেকটাই সুনসান।

Show Full Article
Back to top button