
পশ্চিমবঙ্গ ‘ফণী’-র হাত থেকে রেহাই পেলেও ওড়িশার মানুষের কাছে সুপার সাইক্লোন ফণীর স্মৃতি এখনও তাজা। ওড়িশার উপকূলীয় এলাকা এখনও স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে পারেনি। সেই ফণী-র পর ফের ভারতীয় উপকূলে আছড়ে পড়তে চলেছে আর এক দানব সাইক্লোন ‘বায়ু’। ফারাক এটুকুই যে ফণী তৈরি হয়েছিল বঙ্গোপসাগরে। আর বায়ু শক্তি বাড়াচ্ছে আরব সাগরে।
গত সোমবার থেকে পূর্ব মধ্য আরব সাগরে ঘনীভূত হতে শুরু করে বায়ু। ক্রমশ তা শক্তি বাড়িয়েই চলেছে। আবহবিদরা মনে করছেন, আগামী ২৪ ঘণ্টায় বায়ু আরও শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হয়ে বৃহস্পতিবার সকালে দক্ষিণ গুজরাটের উপকূলে আছড়ে পড়বে। মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত তার যা গতিপ্রকৃতি তাতে বায়ু পোরবন্দর ও মাহুবার মধ্যবর্তী অংশ দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করবে। স্থলভাগে আছড়ে পড়ার সময় ঝড়ের গতি থাকবে সর্বোচ্চ ১৩৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা।
বায়ু ধেয়ে আসছে, এই পূর্বাভাসকে মাথায় রেখে প্রশাসনিক স্তরে তৎপরতা শুরু হয়েছে। কেন্দ্রও বিষয়টিতে চিন্তিত। গুজরাট উপকূল জুড়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সৌরাষ্ট্র ও কচ্ছ এলাকা জুড়ে প্রবল বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়ে লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। উদ্ধারকাজে প্রয়োজনীয় বন্দোবস্ত তৈরি রাখা হচ্ছে। উপকূলীয় এলাকা থেকে মানুষজনকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া নিয়েও ভাবনা চিন্তা শুরু করেছে প্রশাসন। তবে এসবের মধ্যে একটাই সান্ত্বনা। বঙ্গোপসাগরে তৈরি সাইক্লোন যতটা ভয়ংকর হয়, আরব সাগরে তৈরি হওয়া সাইক্লোন অতটা ভয়ংকর চেহারা নিয়ে স্থলভাগে আছড়ে পড়ে না। তবে বায়ু এবার কী খেল দেখাতে চলেছে তা কিন্তু এখনও স্পষ্ট নয়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা