ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের গতিপথ, ছবি – সৌজন্যে – ট্যুইটার – @imdkolkata
সোমবার সকালে ঘূর্ণিঝড়ের চেহারা নিয়ে মধ্য বঙ্গোপসাগর থেকে উত্তর ও উত্তর পূর্ব দিকে বাঁক নিয়ে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এবার ছুটে আসছে উপকূলের দিকে। যার প্রভাবও শুরু হয়ে গিয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে জরুরি সতর্কতা জারি হয়েছে। তৈরি রয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর। উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে ঝোড়ো হাওয়ার দাপট বাড়ছে। সঙ্গে শুরু হয়েছে বৃষ্টি।
অনেক জায়গায় ঝেঁপে বৃষ্টি হয়েছে। যার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে কলকাতা, হাওড়া ও হুগলিতে। কলকাতায় রবিবার রাত থেকেই হাল্কা বৃষ্টি শুরু হয়ে গিয়েছিল।
কালীপুজো ও দিওয়ালীর সকালে সেই বৃষ্টি তার দাপট কিছুটা হলেও বাড়িয়েছে। ঝির ঝির করে বৃষ্টি হয়েই চলেছে। সঙ্গে আকাশ ঢাকা মেঘে। ফলে উৎসবের আনন্দ অনেকটাই মাটি হয়েছে। সবুজ বাজি বিক্রিও তুলনায় কম।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে সিত্রাং পশ্চিমবঙ্গ উপকূল ঘেঁষে যাবে বাংলাদেশে। সিত্রাং স্থলভাগে আছড়ে পড়বে বাংলাদেশের উপকূলেই। তবে পশ্চিমবঙ্গ উপকূল হয়ে যাওয়ায় সিত্রাংয়ের প্রভাব থেকে মুক্তি পাচ্ছেনা এ রাজ্যের উপকূলীয় জেলাগুলি।
সোমবার উপকূলে সর্বোচ্চ ঝড়ের বেগ হতে পারে ৬০ থেকে ৬৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। অন্যদিকে কলকাতা, হাওড়া, হুগলিতে এদিন ঝড়ের বেগ হতে পারে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা।
সোমবার সকাল থেকেই অবশ্য ঝোড়ো হাওয়ার দাপট টের পাচ্ছেন শহরবাসী। এদিন কালীপুজো কার্যত তার আনন্দ উচ্ছ্বাস অনেকটাই হারিয়ে ফেলেছে। সিত্রাং যত কাছে আসবে ততই দুর্যোগ পরিস্থিতি ঘোরতর হতে থাকবে।