কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নির্মিত চিত্রে ঘূর্ণিঝড়, প্রতীকী ছবি
বঙ্গোপসাগরে প্রথমে একটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়। যা ঘনীভূত হয়ে শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড়ের চেহারা নেয়। এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম হয় মিধিলি। উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর থেকে তা ক্রমশ উত্তরপূর্ব দিয়ে এগোতে শুরু করে। লক্ষ্য অবশ্যই স্থলভাগ। নিম্নচাপ ঘনীভূত হওয়া শুরু হতে বৃহস্পতিবার থেকেই পশ্চিমবঙ্গের আবহাওয়ায় বড় পরিবর্তন ঘটে।
সকাল থেকেই আকাশ ছিল মেঘে ঢাকা। অনেক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হয়। সমুদ্র বৃহস্পতিবারের পর শুক্রবারও সকাল থেকেই উত্তাল।
দিঘা সহ এ রাজ্যের বিভিন্ন সমুদ্র তীরের পর্যটনকেন্দ্রে পর্যটকদের সমুদ্রে নামতে নিষেধ করা হয়। উপকূলীয় জেলাগুলিতে যতটা বৃষ্টি হয়েছে, বাকি জেলায় ততটা হয়নি।
এদিকে আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের খেপুপাড়া সংলগ্ন এলাকা দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করবে। তারপর তা আরও পূর্ব দিকে এগিয়ে যাবে।
মিধিলির প্রভাবে শুক্রবার ও শনিবার প্রবল বৃষ্টি হবে ত্রিপুরায়। এছাড়া দক্ষিণ অসম, নাগাল্যান্ড, মেঘালয়েও প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের উপকূলীয় জেলাগুলিতে শুক্রবার পর্যন্ত বৃষ্টি হবে। শনিবার থেকে আকাশ পরিস্কার হয়ে যাওয়ার কথা।
এবার নভেম্বরে বেশ শীতের আমেজ এসে পড়েছিল। উত্তুরে হাওয়ার দাপট ক্রমশ বাড়ছিল। তারমধ্যেই এই নিম্নচাপ আবহাওয়া বদলে দিয়েছে। ঠান্ডা ঝোড়া হাওয়া থাকলেও তাপমাত্রা কিন্তু বেড়েছে। তবে এই ঝড় চলে গেলে তারপর ফের পারদ পতন শুরু হবে। সপ্তাহান্তেই পারদ পতনের সম্ভাবনা রয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা