National

একদিকে দানা, অন্যদিকে ট্রামি, ২ ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত জনজীবন

একদিকে যখন দানা সারারাত ধরে তাণ্ডব দেখাল ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গের উপকূলীয় জেলায়, তখন অন্যদিকে ট্রামি তার তাণ্ডবে কেড়ে নিল ৪০টি প্রাণ।

Published by
News Desk

দানা ট্রামির বেপরোয়া তাণ্ডবে তছনছ বহু এলাকা। দানা প্রাণ কাড়তে না পারলেও ট্রামি কিন্তু প্রাণ কেড়েছে। ৪০টি প্রাণ কেড়ে নিয়েছে তার ভয়ংকর দাপট। তছনছ হয়ে গেছে বহু এলাকা।

ফেরা যাক দানার দিকে। দানা রাত ১২টা ১০ মিনিটে ওড়িশার ভিতরকণিকা এবং ধামরার মধ্যে দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করে। বঙ্গোপসাগর থেকে স্থলভাগে প্রবেশের আগে তার শক্তি আরও বাড়ে। গতিও বৃদ্ধি পায়।

স্থলভাগে প্রবেশ বা ল্যান্ডফলের সময় ঝড়ের গতি ছিল ১২০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। দানা স্থলভাগে প্রবেশের পর ওড়িশা তো বটেই পশ্চিমবঙ্গেও বিস্তীর্ণ এলাকায় প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়।

পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুর বাদ দিলে দানার প্রভাব সেভাবে না পড়লেও বৃষ্টি জনজীবনে বড় প্রভাব ফেলতে পেরেছে। কলকাতাও শুক্রবার অনেকটাই থেমে দিয়েছে বৃষ্টির দাপটে।

এদিকে ওড়িশায় প্রবেশের পর ক্রমশ দুর্বল হচ্ছে ঝড়। তবে বৃষ্টি ঝরছে। দানা প্রাণ কাড়তে না পারলেও ২৫০টির ওপর গাছ উপরে দিয়েছে। শতাধিক বিদ্যুতের খুঁটি মাটি থেকে তুলে ফেলে দিয়েছে। অনেক কাঁচা বাড়ি উড়ে গেছে। বহু মানুষ ত্রাণ শিবিরে দিন কাটাচ্ছেন।

একদিকে যখন দানার দাপট, তখন ফিলিপিন্সে আর এক ঘূর্ণিঝড় ট্রামির তাণ্ডবে কার্যত বিপর্যস্ত একটা বড় অংশ। ট্রামি গত বৃহস্পতিবারই আছড়ে পড়ে ফিলিপিন্সের লুজন নামে জায়গায়। প্রবল দাপটে তার ধ্বংসলীলাও শুরু করে।

ট্রামির দাপটে যেমন গাছ উপড়ে গেছে, তেমন বাড়িঘর তছনছ হয়েছে। এই ঝড়ের সঙ্গে বয়ে আসা অতি প্রবল বৃষ্টিতে জল হুহু করে বাড়তে থাকে অনেক এলাকায়। তার জেরে অনেক পরিবার বাঁচার জন্য বাড়ির ছাদে আশ্রয় নেয়। ৪০ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে ট্রামি। দেড় লক্ষ মানুষ ঘরছাড়া। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Share
Published by
News Desk
  • Recent Posts