হ্যারিকেন, প্রতীকী ছবি
বিপর্যয় আরও শক্তি বাড়িয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের চেহারা নিতে চলেছে। এখন তা সমুদ্রের ওপরই অবস্থান করছে। এগোচ্ছে উত্তর ও উত্তর পূর্ব অভিমুখে। তবে অতি ধীর গতিতে। ক্রমে তা গতি বাড়িয়ে স্থলভাগের দিকে এগিয়ে আসবে।
স্থলভাগে প্রবেশের সময় ঝড়ের গতি হতে পারে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। আরবসাগরের ওপর বেড়ে ওঠা বিপর্যয়ের জন্য বর্ষার ভারতে প্রবেশ কিছুটা হলেও ধাক্কা খেয়েছে।
তবে কেরালায় বর্ষা শুক্রবারই প্রবেশ করেছে। কিন্তু সেই বর্ষা এখনও বিপর্যয়ের জন্য ধীরে ঢুকবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা।
বিপর্যয় শক্তি বাড়াতে থাকায় এবং তার গতিমুখ মোটামুটি আন্দাজ করতে পারায় আবহাওয়া দফতর ৩টি রাজ্যকে সতর্ক করেছে। ঝড়ের চেয়েও প্রবল বৃষ্টি নিয়ে সতর্কতা জারি করেছে তারা।
সেই ৩টি রাজ্য হল গোয়া, কর্ণাটক এবং মহারাষ্ট্র। গুজরাট দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করতে পারে বিপর্যয় বলেও মনে করা হচ্ছে।
আরবসাগরে সাধারণত কমই ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়। সে তুলনায় বঙ্গোপসাগর অনেক বেশি ঘূর্ণিঝড়ের জন্ম দেয়। তাদের ভয়ংকরতাও শিউরে ওঠার মত হয়।
তবে এবার আরবসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয় কতটা বিপর্যয় ডেকে আনে এবং কোথায় কোথায় ডেকে আনে সেদিকে কড়া নজর রেখেছেন আবহবিদেরা।
প্রসঙ্গত বিপর্যয় নামটি দিয়েছে বাংলাদেশ। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলি ঘুরিয়ে ফিরিয়ে এই অঞ্চলে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড়গুলির নামকরণ করে থাকে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা