World

চুরি হয়ে গেল ভূতুড়ে কুমড়ো, চোরকে দেখা গেল, ধরা গেলনা

দেখা যাচ্ছে কে চুরি করছে। বাড়িতে ঢুকে কুমড়ো চুরি করছে সে। তাও আবার যে সে কুমড়ো নয়, ভূতুড়ে কুমড়ো।

Published by
News Desk

চুরি করার জন্য অন্ধকার আদর্শ সময়। সেই অন্ধকারকেই কাজে লাগিয়ে চুরিটা করে ফেলল সে। ধীর পায়ে ঢুকল বাড়িতে। সামনে কিছুটা জমি। তারপর গাড়ি বারান্দা। সেই গাড়ি বারান্দাতেই রাখা ছিল একটি কুমড়ো। আর ছিল একটি পাত্রে রাখা বেশ কিছু লজেন্স।

বাড়িতে ঢুকে আশপাশে কাউকে না দেখতে পেয়ে নিশ্চিন্ত মনে সে এক এক করে লজেন্সের পাত্র এবং কুমড়ো শুঁকে দেখে নেয়। সব ঠিক আছে কিনা সেটাই হয়তো পরীক্ষা করে। তারপর শুরু হয় তার ভোজ।

বাড়ির লোকজনের কাছে পুরো ঘটনাই পরিস্কার। কারণ সিসিটিভি ক্যামেরায় সবটাই দেখা গেছে। কিন্তু চোরকে ধরার চেষ্টার সাহস কেউ দেখাননি। না দেখানোই স্বাভাবিক। কারণ চোর কোনও মানুষ নয়, একটি বড়সড় চেহারার ভাল্লুক।

ভাল্লুক তাড়ানোর চেষ্টা করলে উল্টো ফল হতে পারত। পাল্টা ভাল্লুক ঝাঁপিয়ে পড়তে পারত। তার চেয়ে সবে কয়েকদিন আগে শেষ হওয়া হ্যালোউইনে রাখা ভূতুড়ে কুমড়ো খেয়ে সে যদি আনন্দ পায় পাক, এমন একটা মানসিকতাই কাজ করে বাড়ির বাসিন্দাদের।

বিদেশের ভূতচতুর্দশী বলা হয় হ্যালোউইনকে। ওইদিন ইউরোপ, আমেরিকায় প্রায় প্রতিটি পরিবারে কুমড়োকে ভূতুড়ে সাজে সাজিয়ে তোলা হয়। তারপর তা রাখা হয় বাড়ির দরজায়।

সেই কুমড়ো হ্যালোউইন কেটে গেলেও বাড়ির সামনেই রাখা ছিল। সেটা এবার ভাল্লুকের ভোজে শেষ হল। তবে শুধু কুমড়ো নয়, মিষ্টিপ্রেমী ভাল্লুকটি বেশ সময় নিয়ে তারিয়ে উপভোগ করেই লজেন্সগুলি সাবাড় করে তারপরই সেখান থেকে বিদায় নেয়। আমেরিকার কানেকটিকাটের এই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ওই পরিবারই ভাগ করে নিয়েছে।

Share
Published by
News Desk