World

সোনার আকরের তলায় হারিয়ে গেল দেহ, মৃত ৫০

ভয়ংকর এক ঘটনার সাক্ষী হল বিশ্ব। সোনার খনিতে ধস নেমে মৃত্যু হল কমপক্ষে ৫০ জনের।

Published by
News Desk

কিনশাসা : সোনার খনিতে কাজ চলছিল পুরোদমে। এদিকে বাইরে তখন প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে। তবে বৃষ্টির জন্য খনির মধ্যে কাজ থেমে থাকেনি। প্রবল বৃষ্টি কিন্তু মাটি আলগা করছিল। খনিগর্ভে অনেক শ্রমিক তখন কাজে ব্যস্ত। মাটি আলগা হতে হতে এক সময় তা ধসে পড়ে। সোনার খনিতে হুড়মুড়িয়ে নামে ধস। মাটির নিচে সেই ধসে আটকা পড়ে যান সব শ্রমিক। ধস নেমে এমন বিপর্যয় যে হতে পারে তা কল্পনাও করতে পারেননি কেউ। ধসের নিচ থেকে তাঁরা আর বার হয়ে খনি থেকে ওপরে উঠে আসতে পারেননি। পরে উদ্ধারকাজ শুরু হলে এক এক করে শ্রমিকের দেহ বার হতে থাকে।

মোট ৫০টি দেহ উদ্ধার হয়েছে খনি থেকে। এখনও আরও দেহ খনিগর্ভে পড়ে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা। ঘটনাটি ঘটেছে গত শুক্রবার বিকেলে আফ্রিকার ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অফ কঙ্গো-তে। কঙ্গোর সোনার খনি বিখ্যাত। কঙ্গোয় অনেক সোনার খনি রয়েছে। রয়েছে অন্যান্য ধাতুর খনিও। তবে সোনার খনি থাকলেও কঙ্গোয় খনি নিরাপত্তা প্রায় নেই বললেই চলে।

শোচনীয় পরিস্থিতি খনিগুলির নিরাপত্তার। শ্রমিকরা প্রতিদিনই প্রাণ হাতে করে সেখানে কাজ করেন। দারিদ্র শ্রমিকদের খনিতে কাজে বাধ্য করলেও তাঁদের জীবন সুরক্ষিত করার সেই অর্থে বন্দোবস্তের অভাব রয়েছে কঙ্গোতে। খনি মালিকদের খনিজ তোলায় উৎসাহ যত, শ্রমিক নিরাপত্তায় তার কণামাত্রও নেই। ফলে কঙ্গোতে খনি দুর্ঘটনা গা সওয়া হয়ে গিয়েছে সেখানকার মানুষের। খনিতে কাজ করতে করতে মৃত্যু সেখানে অহরহ ঘটে থাকে।

গত শুক্রবার কঙ্গোর কামিতুদগা এলাকার একটি সোনার খনিতে ধস নামে। গত বছর অক্টোবরে একটি সোনার খনিতে এভাবেই ধস নামে। সেবার মৃত্যু হয় ২১ জন শ্রমিকের। পরে জানা যায় খনিটি থেকে বেআইনিভাবে সোনা উত্তোলন করা হচ্ছিল। এই কঙ্গোতেই ২০১৯ সালের জুন মাসে লুয়ালাবা প্রদেশের একটি তামা ও কোবাল্টের খনিতে ধস নেমে মৃত্যু হয় ২৪ জনের বেশি শ্রমিকের। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Share
Published by
News Desk
Tags: Congo

Recent Posts