কোলোসাল স্কুইড, ছবি – সৌজন্যে – স্মিট ওশান ইন্সটিটিউট
কখনও তিমি মাছের পেটে তার দেহাবশেষ দেখা যেত। কখনও মৎস্যজীবীদের জালে এই সামুদ্রিক প্রাণিকে প্রাণহীন অবস্থায় পাওয়া গেছে। কিন্তু তাকে জীবন্ত অবস্থায় সমুদ্রে কখনও কেউ ঘুরতে দেখেননি।
মানুষ সমুদ্রের তলায় বহুদিন ধরেই ঘুরছে। কিন্তু এর দেখা কখনও পায়নি। এবার পাওয়া গেল একটি রিমোট দ্বারা নিয়ন্ত্রিত যন্ত্রে লাগানো ক্যামেরার সৌজন্যে।
১০০ বছর আগে এই প্রাণির কথা জানতে পারা গিয়েছিল। আর এই ১০০ বছর পার করে এই প্রথম তাকে জীবন্ত অবস্থায় সমুদ্রের জলে ঘুরতে দেখার সৌভাগ্য হল মানুষের।
আর্জেন্টিনা ও অ্যান্টার্কটিকার মাঝে সাউথ স্যান্ডউইচ দ্বীপের কাছে জলের ৬০০ মিটার গভীরে ওই যন্ত্রের সাহায্যে চলছিল সমুদ্রের তলদেশের তথ্য সংগ্রহ। সেই সময় এই কোলোসাল স্কুইড-টিকে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়।
ফালকোর নামে ওই যন্ত্রযানে লাগানো ক্যামেরা সমুদ্রের ৬০০ মিটার গভীরে সেই ছবি তোলে। বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, এই প্রথম কোলোসাল স্কুইড প্রাণিটিকে জীবন্ত অবস্থায় দেখতে পাওয়া গেল।
১৯২৫ সালে এটির দেহাংশ পাওয়া গিয়েছিল তিমি মাছের পেটে। তখনই এই প্রাণিটির অস্তিত্বের কথা জানা যায়। কিন্তু তাকে কেউ দেখতে পাননি। এতদিনে সেটিকে সমুদ্রের জলে নিজের মত ঘুরতে দেখা গেল।
তবে বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন যেটির দেখা মিলেছে সেটি কোলোসাল স্কুইডের ছানা। মাত্র ৩০ সেন্টিমিটার লম্বা। কোলোসাল স্কুইড ৫০০ কেজি ওজন পর্যন্তও বাড়ে। লম্বায় ৭ মিটার পর্যন্ত হতে পারে।
তবে এই যে একটি কোলোসাল স্কুইডের দেখা মিলল সেটাই বিশেষজ্ঞদের কাছে বড় পাওনা। সমুদ্রের তলায় এমন কত কিছুই যে এখনও অজানা তা কে জানে।