নিজেদের কলোনি বাঁচাতে নির্দ্বিধায় জীবন দিয়ে বিস্ফোরণ ঘটায় এই পিঁপড়ের দল
বিস্ফোরণ যে কি সে সম্বন্ধে সকলের একটা ধারনা আছে। একটা ছোট্ট পিঁপড়েও যে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিজেদের এলাকা রক্ষা করে তা চমক দেওয়ার জন্য যথেষ্ট।

নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষা করতে, কলোনির বাকিদের রক্ষা করতে যে পিঁপড়েরা এতটা নিঃস্বার্থ হতে পারে তা এই পিঁপড়েদের কথা না জানলে বোঝা মুশকিল। বৃহত্তর আত্মত্যাগের মাধ্যমে নিজেদের বাসস্থান রক্ষা করতে এতটুকু পিছপা হয়না এরা। তাদের এই আচরণকে বিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় অটোথাইসিস বা আত্মবিনাশ পদ্ধতি।
তবে যেকোনও পিঁপড়ে কিন্তু এই অভাবনীয় কাজটি করতে পারেনা। একটি বিশেষ প্রজাতির পিঁপড়েরাই এই বিস্ফোরণ ঘটিয়ে বাকিদের রক্ষা করে। এদের বলে মালয়েশিয়ান এক্সপ্লোডিং অ্যান্ট। এরা বিস্ফোরণ ঘটানোর মাধ্যমে নিজের জীবন বিসর্জন দেয়। কিন্তু বাঁচিয়ে দিয়ে যায় তার কলোনির বাকিদের।
মালয়েশিয়া এবং ব্রুনেইতে কোলোবোপসিস প্রজাতির পিঁপড়েরা দলবেঁধে বাস করে। যে কোনওরকম বিপদের আভাস পেলেই দলের কোনও এক কর্মী নিজের জীবন বিসর্জন দেয়। প্রতিরক্ষার চূড়ান্ত পদক্ষেপ হিসাবে এরা আক্রমণাত্মক ভাবে বিস্ফোরিত হয়।
যখন কোনও শত্রু এই পিঁপড়েদের কলোনিতে হানা দেয় তখন এই পিঁপড়েরা নিজের পেটের পেশি এত জোরে চেপে ধরে যে নিজেদের শরীরটাই সেই চাপে ফেটে যায়। আর সেই বিস্ফোরণের ফলে তাদের শরীরের একটি স্ফীত অংশ থেকে একধরনের বিষাক্ত ও আঠাল তরল নির্গত হয়। যা বিস্ফোরণে ছিটকে চারধারে ছড়িয়ে পড়ে।
ওই তরলের বিষেই পিঁপড়েরা শত্রুকে সহজে ঘায়েল করতে পারে। ওই তরলটির মধ্যে একটি শক্তিশালী রাসায়নিক থাকে। তাই তার প্রভাবে শত্রুদের জীবনও যায়।
সাধারণত অন্য পিঁপড়ে প্রজাতির হানা থেকে নিজেদের কলোনিকে রক্ষা করতে এই আত্মত্যাগের রাস্তা নির্দ্বিধায় বেছে নেয় এই মালয়েশিয়ান এক্সপ্লোডিং অ্যান্টরা।