চকোলেট কসমস, ছবি - সৌজন্যে - উইকিমিডিয়া কমনস
পৃথিবীর অন্যতম এক সুন্দর জিনিস ফুল। ফুল সবসময়ই তার গন্ধে, বর্ণে সকলকে কাছে টানে। সে ভোমরা, মৌমাছি হতে পারে আবার মানুষও। ফুল ভাল লাগে না এমন মানুষ খুঁজে মেলা ভার। ফুলের সুগন্ধে মানুষ মাতোয়ারা হয়। আবার কোনও ফুলের অপরূপ রংবাহার মানুষকে পলক ফেলতে দেয়না।
কিন্তু এমন কথা শুনেছেন কি যে কোনও ফুলের কাছে গেলে চকোলেট খেতে মন চায়! কিন্তু এমনটাই তো হয়। যখনই কেউ চকোলেট কসমস ফুলের দিকে এগিয়ে যান তিনি চকোলেটের ভুরভুরে সুগন্ধ পেতে শুরু করেন। ফুলের যত কাছে যাওয়া যায় ততই গন্ধ স্পষ্ট হয়। এজন্য এই ফুলের নাম চকোলেট কসমস।
মেক্সিকোর এই ফুলটি কিন্তু বিশ্বের অন্যতম বিরল ফুলের তালিকায় পড়ে। লালচে খয়েরি রংয়ের ফুলগুলির রং যেমন সুন্দর, তেমনই তার গন্ধে রয়েছে এক বিরল বৈচিত্র্য। এর গন্ধ চকোলেটের মতন।
ফুলটি কিন্তু এখন আর সাধারণ প্রাকৃতিক নিয়মে ফোটে না। এটি তৈরি করতে হয় টিস্যু কালচার বা রুট ডিভিশন পদ্ধতি দিয়ে। এভাবেই এখন পৃথিবীর বুকে বেঁচে আছে চকোলেট কসমস।
৪০ থেকে ৭০ সেন্টিমিটার উচ্চতায় হয় এই ফুল। যার অস্তিত্ব বেঁচে আছে কেবল তার আসল ফুলের ক্লোন থেকে। তবে এই ফুল যখনই ফোটে চকোলেটের গন্ধ ছড়িয়ে আশপাশ অন্যরকম এক সুগন্ধে ভরিয়ে তোলে। শুঁকলে মনে হয় যেন চকোলেট টানছে।