World

৩৫ ছাত্রকে সারারাত স্কুলেই আটকে রাখল স্কুল কর্তৃপক্ষ

স্কুল ছুটির পর তাদের বাড়ি নিয়ে যেতে অভিভাবকরা অনেকেই ভিড় করেছিলেন স্কুলের বাইরে। কিন্তু সন্তানকে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার সেই অপেক্ষা সারারাতে গড়াল।

Published by
News Desk

স্কুল যেমন প্রতিদিন ছুটি হয় ঠিক সেই সময়ই অভিভাবকরা হাজির হয়েছিলেন স্কুলের দরজায়। সন্তানদের বাড়ি ফেরত নিয়ে যেতে। কিন্তু স্কুলের দরজা আর খোলে না। ক্রমশ উদ্বেগ বাড়তে থাকে অভিভাবকদের। সন্ধে গড়িয়ে যায়। কিন্তু স্কুল ছুটি হয়না!

এদিকে যেসব ছাত্রের অভিভাবকরা আসেন না ছুটির সময়, যারা ফেরে পুল কারে, সেই অভিভাবকরাও সন্তান ফেরেনি শুনে সোজা হাজির হন স্কুলে। স্কুল কিছু সেভাবে জানাচ্ছে না। অথচ স্কুলে আটকে রয়েছে তাঁদের সন্তানরা।

বাইরে শুরু হয় চিৎকার চেঁচামেচি। অবশেষে রাত সাড়ে ১১টার সময় স্কুল থেকে বেরিয়ে আসেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক। অভিভাবকদের জানান, তাঁদের সন্তানদের স্কুলেই সারারাত থাকতে হবে। পরদিন তারা ছাড়া পাবে।

কিন্তু কেন এমন অদ্ভুত ফতোয়া? স্কুলের তরফে জানানো হয় তাদের এক কর্মী করোনা সংক্রমণের শিকার হয়েছেন। তাই স্কুলের সব শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীদের করোনা পরীক্ষা হয়েছে। তাঁরাও স্কুলের ভিতরেই রয়েছেন।

ছাত্রদের একাংশকে আলাদা করা হয়েছে। তাদেরও পরীক্ষা হয়েছে। তাদের পরীক্ষার ফল আসতে পরদিন হয়ে যেতে পারে। ততক্ষণ তারা স্কুলেই আটকে থাকবে। তাদের বার হতে দেওয়া হবে না।

জানা যাচ্ছে ৩৫ জন ছাত্র এভাবে সারারাত আটকে থাকে স্কুলে। তবে তাদের কতজন সংক্রমণের শিকার হয়েছে তা এখনও পরিস্কার নয়।

প্রসঙ্গত চিনে হুহু করে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। যার জেরে ১৬টি প্রদেশে প্রায় লকডাউন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বেজিং থেকেই মানুষজনকে শহরের বাইরে যেতে নিষেধ করা হচ্ছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Share
Published by
News Desk

Recent Posts