World

গিয়েছিলেন বাজারে, ছবি ছাপা হল দেশের কাগজি নোটে, ছবির মেয়ের খোঁজ মিলল ৫০ বছর পর

১৬ বছরের এক কিশোরীর ছবি দেশের কাগজি নোটে জায়গা করে নিয়েছিল। সেই ষোড়শীর খোঁজ পাওয়া গেল ৫০ বছর পর।

সময়টা খুব কম নয়। ৫০ বছর। এই দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে কত কি যে বদলে যায় তার ঠিক নেই। সেখানে মানুষের মুখের আদল তো প্রতিনিয়ত বদলায়। এতগুলো বছর পর কাউকে খুঁজে পাওয়া যেন এক অমূল্য ধনের সন্ধান পাওয়ার মত।

৬৫ বছর বয়সী শি নাইয়িন। দক্ষিণ পশ্চিম চিনের কংজিয়াং প্রদেশে বসবাসকারী শি ডং সম্প্রদায়ের কৃষক সমাজের অংশ। ছোটবেলা থেকে সহজ সরল গ্রাম্য জীবনযাপনেই তিনি অভ্যস্ত।

একটি অদ্ভুত ঘটনায় তাঁর জীবনধারায় বদল আসে। গোটা দেশে তিনি পরিচিত হন ‘ওয়ান ইউয়ান গার্ল’ হিসাবে। যদিও তাঁর গ্রামের মানুষের কাছে তিনি একজন কৃষিজীবী বলেই পরিচিত ছিলেন। এমনকি তিনি নিজেও বহুদিন পর্যন্ত এই বিষয়টি সম্পর্কে জানতে পারেননি।

শি-র বয়স যখন ১৬ তখন একদিন তিনি তাঁর বন্ধুদের সাথে বাজারে ঘুরতে গিয়েছিলেন। তাঁর পরনে ছিল ডং সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী পোশাক এবং কানে একজোড়া নজরকাড়া রুপোর দুল। সেলাইয়ের কাজের জন্য দোকানে সূচ, সুতো কিনছিলেন শি।

সেসময় এক ব্যক্তি শি-কে মুখটা একটু ঘুরিয়ে নড়চড় না করে দাঁড়িয়ে থাকতে বলেন। অপ্রত্যাশিত এই ঘটনায় চমকে গেলেও শি তাতে রাজি হন। তখন ওই ব্যক্তি শি-র একটি পোর্ট্রেট আঁকেন। এরপর শি বিষয়টি ভুলেও যান। ১৯৮৮ সালে চিন এক ইউয়ান নোটের চতুর্থ সংস্করণে শি-র সেই ছবিটি ছাপায়।

শি এই ব্যাপারে কিছুই জানতেন না। ২০১০ সাল নাগাদ কিছু মানুষ শি-র মুখের সাথে নোটের ছবির মিল পাওয়ার পর বিষয়টি জানাজানি হয়। তখন অনেকেই তাঁকে সরকারের সাথে যোগাযোগ করে অর্থ সাহায্য চাইতে বলেন।

কিন্তু শি বা তাঁর পরিবার কোনওদিনই পরিচয়ের সুযোগ নিয়ে সরকারি সাহায্যের চেষ্টা করেননি। সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট সংবাদমাধ্যমে এই খবরটি প্রকাশিত হয়েছে। প্রসঙ্গত এক চিনা ইনফ্লুয়েন্সারের জন্য সম্প্রতি শি-কে গোটা চিন চিনে ফেলেছে।

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *