World

ট্যাক্স বসিয়ে কন্ডোমের দাম বাড়াল এই দেশ, পিছনে রয়েছে অন্য উদ্দেশ্য

কন্ডোম কিনতে গিয়ে বেশি দাম গুনতে হবে একটি দেশের মানুষজনকে। আচমকা কন্ডোমের ওপর ট্যাক্স বসিয়ে দাম বাড়ানো হয়েছে। বেড়েছে গর্ভনিরোধকের দামও।

সুস্থ শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেও নারীরা যাতে গর্ভবতী হয়ে না পড়েন সেজন্য কন্ডোম বিশ্বের অধিকাংশ দেশের মানুষের কাছেই বড় ভরসা। সেই সঙ্গে গর্ভনিরোধক ট্যাবলেটও গর্ভবতী হয়ে পড়ার চিন্তা থেকে মুক্ত করে।

কিন্তু এই ২টি জিনিসের ওপরই মোটা অঙ্কের ট্যাক্স বসিয়ে দেওয়া হল চিনে। ভ্যালু অ্যাডেড ট্যাক্স বা ভ্যাট বসিয়ে এগুলির দাম বাড়ানো হয়েছে সে দেশে। ভেবেচিন্তেই এই পদক্ষেপ করেছে চিন সরকার।

এটা কোনও অধিক রাজস্ব আদায়ের চেষ্টা একেবারেই নয়। বরং এর পিছনে রয়েছে অন্য উদ্দেশ্য। আর সেই উদ্দেশ্যের মাধ্যমে চিনের এক উলটপুরাণের কাহিনি সামনে আসছে।

১৯৯৩ সালে এই চিনেই কন্ডোমকে ভ্যাট মুক্ত করা হয়েছিল। একই ঘটনা ঘটেছিল গর্ভনিরোধক ট্যাবলেট সহ গর্ভনিরোধক অন্য সামগ্রির ক্ষেত্রেও। কারণ সে সময় চিন জন বিস্ফোরণের ধাক্কা সামাল দিতে পারছিলনা।

সুস্থ এবং গর্ভবতী হয়ে পড়ার চিন্তা মুক্ত দৈহিক সম্পর্ক স্থাপনে উৎসাহ দিতে চিন এই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিল। এখন তার ঠিক উল্টো পথে হাঁটল তারা। ১৯৯৩ সালে যেখানে চিন কড়া ভাবে এক সন্তান নীতি কার্যকর করার পথে হেঁটেছিল, সেখানে এখন তার ঠিক উল্টো পথে হেঁটে চিন সরকারই একাধিক সন্তান প্রসবে উৎসাহ দিচ্ছে দেশবাসীকে।

বিয়েতে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। বাড়ানো হয়েছে মাতৃত্বকালীন ও পিতৃত্বকালীন ছুটির মেয়াদ। তারই সঙ্গে কন্ডোম, গর্ভনিরোধকের ওপর ভ্যাট বসিয়ে সেগুলির দাম বাড়িয়ে সেগুলি কেনা থেকে মানুষকে বিরত রাখার চেষ্টা করছে সরকার। যাতে চিনে শিশুর সংখ্যা বাড়তে পারে।

একটি খতিয়ান বলছে ২০২৪ সালে চিনে সন্তান প্রসবের সংখ্যা ছিল ৯৫ লক্ষের আশপাশে। যা চিন সরকারের ঘুম কেড়ে নিয়েছে। এত কম সংখ্যক সন্তান প্রসবের অর্থ চিনে ক্রমশ বয়স্কদের আধিক্য তৈরির পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়া। যা আগামী দিনে চিনের অর্থনীতির ওপরও সরাসরি প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন সেখানকার বিশেষজ্ঞেরা। বিশ্বের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে চিনের এই কন্ডোম ট্যাক্সের খবর প্রকাশিত হয়েছে।

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *