World

এই ঘটনা প্রতিটি মানুষের অবশ্যই জানা উচিত, জীবনে চলার পথে এক চরম শিক্ষা

জীবনে চলার পথে সঙ্গী মাঝপথে হাত ছেড়ে দেবে নাতো? এটা কিন্তু যে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় জানা জরুরি। সেটাই যাচাই না করার চরম শিক্ষা পেলেন এক ব্যক্তি।

আইনবিদ্যায় স্নাতক এক ছাত্রের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল পরমা সুন্দরী এক নারীর। স্বপ্নের মত ছিল সেই বিয়ে। ইন্টারনেটের যুগে ২ জনের আলাপ হয়েছিল একটি অনলাইন গেমিং সাইটের মাধ্যমে। ২ জনেই একসাথে সেখানে গেম খেলতেন।

যুবকটি তাঁর প্রেমিকাকে অত্যন্ত ভালবাসতেন। তিনি এও জানতেন তাঁর প্রেমিকার প্রতি বহু পুরুষই আকৃষ্ট। তবু সকলকে বাদ দিয়ে ওই যুবতী তাঁকেই জীবনসঙ্গী হিসাবে বেছে নেওয়ায় যুবক বেজায় খুশি হন। তিনি ভেবেছিলেন তাঁর রূপ এবং ব্যক্তিত্বে মুগ্ধ হয়ে যুবতী তাঁর প্রেমে পড়েছেন।

চিনের ঝেঝিয়াং প্রদেশের বাসিন্দা ৪১ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি এরপর ওই যুবতীর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। সে সময় মেধাবী ছাত্র হিসাবে পরিচিত ওই যুবক একটি সরকারি সংস্থায় উচ্চপদে কর্মরত ছিলেন।

প্রতি মাসে প্রায় ৫০ হাজার ইউয়ান মাইনে ছিল তাঁর। ভারতীয় মুদ্রায় ৬ লক্ষ টাকার ওপর। স্ত্রীর বিলাসিতা ও রূপচর্চার খরচ সে সময় তাঁর সামাল দিতে খুব সমস্যা হয়নি।

৫ বছর আগে কোনও এক অজ্ঞাত কারণে যুবকের সেই চাকরিটি চলে যায়। সেই দুঃসময়েও ওই ব্যক্তির স্ত্রীর বিলাসিতা কিন্তু কমেনি। উল্টে বিলাসিতার খরচ মেটানোর জন্য তাঁর স্ত্রী তাঁর যাবতীয় সঞ্চয়ও শেষ করে দেন।

এমনকি বিপুল খরচ সামাল দিতে ফ্ল্যাটও বিক্রি করিয়ে তাঁকে কার্যত কপর্দকশূন্য করে দেন তাঁর রূপসী স্ত্রী। এমনই অভিযোগ করেছেন ওই ব্যক্তি।

নিরুপায় হয়ে ওই ব্যক্তি তখন একজন ডেলিভারি বয়ের কাজ নেন। মাইনে পেতেন ১০ হাজার ইউয়ানের চেয়েও অনেক কম। এই টাকায় সংসার খরচ সামলে স্ত্রীর বিলাসবহুল জীবনের খরচা মেটানো তাঁর পক্ষে ক্রমশ অসম্ভব হয়ে ওঠে। স্বামীর পক্ষে আর তাঁর বিলাসিতা ও রূপচর্চার খরচ সামাল দেওয়া সম্ভব নয় বুঝে তখন বিবাহবিচ্ছেদের পথে হাঁটেন ওই যুবতী।

স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের পর সময়ের সাথে ওই যুবক বুঝতে পারেন মানুষ হিসাবে নয় বরং টাকার জন্যই তাঁকে বিয়ে করেছিলেন ওই যুবতী। আর তিনিও রূপে মুগ্ধ হয়ে যুবতীর সম্পর্কে কোনও খোঁজই নেননি।

বর্তমানে ওই ব্যক্তির উপলব্ধি একটাই, একা থাকলেও শান্তিতে আছেন এবং নিজের কাজ নিয়ে ভাল আছেন। সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট সংবাদমাধ্যমে খবরটি প্রকাশিত হয়েছে।

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *