মেয়ের খেতে অসুবিধা হচ্ছে, চাকরি ছেড়ে ৯০০ কিলোমিটার দূরে খাবার স্টল খুললেন বাবা
বাবা ও মেয়ের বন্ধনের এ এক চিরকালীন উদাহরণ হয়ে থেকে যেতে পারে। এমনই মন ভাল করা এই কাহিনি। মেয়ের খাবারের সুবিধার জন্য চাকরি ছেড়ে দিলেন বাবা।
মা চলে গেছেন। বাবা ও মেয়ের সংসার। বাবা ও মেয়ের সেই মনের বন্ধন অটুট থাকলেও মেয়েকে পড়াশোনার জন্য পাড়ি দিতে হয় অন্য শহরে। বাবার থেকে অনেক দূরে। ফোনে কথা তো হয়। সেখানেই মেয়ে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলের ক্যান্টিনের খাবার তাঁর মুখে রুচছে না।
বাড়ির খাবারের স্বাদ কোথাও পাচ্ছেন না তিনি। বাবার কানে সেকথা পৌঁছনোর পর তিনি আর বেশি সময় নষ্ট করেননি। দ্রুত চাকরি ছেড়ে দেন। রান্না কীভাবে ভাল করতে হয় তার তালিম নেন।
তারপর পাড়ি দেন ৯০০ কিলোমিটার দূরে মেয়ের বিশ্ববিদ্যালয়ের শহরে। সেখানে পৌঁছে তিনি কোনও বাড়ি ভাড়া করে যে মেয়ের জন্য রান্না করতে শুরু করেন এমনটা একেবারেই নয়। বরং তিনি মেয়ের বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনেই রাস্তার ধারে একটি ছোট্ট স্টল শুরু করেন। সেখানে ফ্রায়েড রাইস, নুডলস জাতীয় খাবার তৈরি করতে থাকেন।
চিনের জিলিন প্রদেশের জিলিন বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠরতা মেয়ের জন্য বাবা তিয়ানজিন থেকে ৯০০ কিলোমিটার দূরে জিলিনে এই স্টল খুলে খাবার বিক্রি শুরু করেন। কিন্তু প্রথমে তেমন বিক্রি ছিলনা।
বাবার জন্য মেয়ে এরপর তাঁদের কাহিনি, বাবার আত্মত্যাগ, খাবারের দোকানের কথা সেখানকার সমাজ মাধ্যমে জানান। এতেই কাজ হয়। পরদিন থেকেই দেখা যায় ওই ব্যক্তির স্টলের বাইরে মানুষের ভিড় জমতে শুরু করেছে।
ছাত্রছাত্রী থেকে শিক্ষক, এমনকি স্থানীয়রাও ভিড় জমাতে থাকেন ওই দোকানে। এমন অবস্থা হয় যে ওই তরুণীর বাবার একার পক্ষে সব সামাল দেওয়া সম্ভব হচ্ছিল না। ফলে মেয়েও তাঁর অবসর সময় বাবার দোকানে কাজ করে বাবাকে সাহায্য করতে থাকেন।
আর যে খাবারের অসুবিধাকে কেন্দ্র করে এতকিছু, সেই খাবারটাও এখন মেয়ে তাঁর বাবার দোকানেই খেয়ে নেন। বাবার হাতে করা রান্নায় ফের তিনি তাঁর স্বাদ খুঁজে পেয়েছেন। এই কাহিনি সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।













