পায়ের সমস্যায় ছুটি নিয়ে ১৬ হাজার পা হাঁটল কীভাবে, কর্মীকে তাড়িয়ে আদালতে প্রশ্ন সংস্থার
তিনি অফিসে জানান তাঁর পায়ের সমস্যা। ছুটি চাই। ছুটি পানও। কিন্তু যখন ফের অফিসে যোগ দিতে যান তখন তাঁকে জানানো হয় তাঁর চাকরি আর নেই।
প্রথমে তিনি জানিয়েছিলেন তাঁর কোমরের সমস্যা হয়েছে। নিজের দাবির স্বপক্ষে সংস্থার কাছে ছুটির আবেদনপত্রের সঙ্গে হাসপাতালের কাগজও জমা দিয়েছিলেন ওই কর্মী। খতিয়ে দেখে অফিস তাঁর ছুটিও মঞ্জুর করে।
১ মাস ছুটির পর অফিসে যোগ দেন ওই কর্মী। তবে অর্ধদিবসের জন্য। এসেছিলেন কেবল পরবর্তী ছুটির কাগজ জমা করতে। ফের তিনি কাগজ জমা দেন। হাসপাতালের দেওয়া নথিতে তাঁকে বিশ্রাম নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল পায়ের সমস্যার জন্য।
ফলে তিনি ফের আরও কিছুদিনের জন্য ছুটি পান। এরপর যেদিন তিনি অফিসে যোগ দিতে আসেন সেদিন তাঁকে অফিসে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। তাঁকে জানিয়ে দেওয়া হয় রোগের ছুতো দেখিয়ে ছুটি নেওয়ায় তাঁকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছে সংস্থা।
এই ঘটনার পর ওই ব্যক্তি আদালতের দ্বারস্থ হন। সেখানে আদালত ওই সংস্থাকে এভাবে চাকরি কেড়ে নেওয়ার জন্য শ্রম আইনের কথা মাথায় রেখে ১৬ হাজার ৭০০ ডলার বা ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা ওই কর্মীকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেয়।
এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে যায় সংস্থা। তারা আদালতে প্রমাণ দিয়ে জানায় গোপন নজরদারিতে তারা দেখেছে ওই ব্যক্তি পায়ের সমস্যার জন্য যেদিন ছুটি নেন সেদিন ১৬ হাজার পা হাঁটেন।
যদি পায়ের এতটাই সমস্যা হয় তাহলে ১৬ হাজার পা একদিনে ওই কর্মী হাঁটলেন কীভাবে? এর স্বপক্ষে নথিও জমা দেয় সংস্থা। আদালত ২ পক্ষের দাবি খতিয়ে দেখার পর ফের ওই কর্মীর পক্ষেই রায় দেয়।
ওই কর্মী আদালতে এক্স-রে রিপোর্ট ও হাসপাতালের নথি তুলে ধরেছিলেন। ঘটনাটি ঘটেছে চিনের জিয়াংসু প্রদেশে। এই ঘটনার কথা সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর নানা সংবাদমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।













